স্পোর্টস ডেস্ক:
ভারত-পাকিস্তান সংঘাতকে কেন্দ্র করে অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ তথা আইপিএল। দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে এখন মে মাসেই আইপিএল শুরুর ব্যাপারে নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)
দেশ দুটির উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার স্থগিত করা হয় ভারতের এই ক্রিকেট লিগ। এখন অবশ্য নতুন করে সেটি শুরুর বিষয়ে আলোচনা চলছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজিব শুক্লা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘যুদ্ধ এখন থেমেছে। নতুন পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তা, গভর্নিং কাউন্সিল রবিবার সভায় বসবে। যার মুখ্য আলোচনাতেই থাকবে সম্ভাব্য সেরা উপায় বের করা।’
দশটি ফ্র্যাঞ্চাইজি এখন তাদের বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে টুর্নামেন্ট পুনরায় শুরুর ব্যাপারে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর দেওয়া তথ্য অনুসারে টুর্নামেন্ট শুরুর সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ১৫ মে। অবশ্য সেটা নির্ভর করছে ভারতের সরকারের সবুজ সংকেতের ওপর।
চলতি আসরে বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় একটি ম্যাচ স্থগিত হওয়ার পরই আইপিএল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ৮ মের সেই খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালস। ম্যাচটায় ১০.১ ওভার পর্যন্ত খেলা হয়েছিল। সেখান থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও কম দূরে অবস্থিত জম্মু শহরে বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ টুর্নামেন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো টুর্নামেন্ট শুরুর ব্যাপারে আশাবাদী হলেও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের ফেরানো। শুক্রবার, শনিবারের মধ্যে বেশির ভাগই ভারত ছেড়েছেন। কয়েক জনকে তো দ্রুতই সেখানে ফেরত আসার জন্য বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি আবার তাদের কোচিং স্টাফকে ভ্রমণের পরিকল্পনা পেছাতে বলেছে। অনেককে আবার যাত্রাপথে থামার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওয়ার ক্ষেত্রে আরেক সমস্যা হলো টুর্নামেন্ট ২৫ মে ডেডলাইন পার হওয়ার ক্ষেত্রে। চলতি মৌসুম ওই তারিখ পার করে বেশি স্থায়ী হলে অনেক বিদেশি খেলোয়াড়কেই হয়তো পাওয়া যাবে না। কারণ, অনেকেরই দলের সিরিজ আসন্ন। তার মধ্যে রয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। লর্ডসে সেটা শুরু হবে ১১ জুন।
সূচির মধ্যে ৫৭টি ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে। লিগ পর্বে বাকি এখনও ১২টি ম্যাচ এবং ৪টি প্লে-অফ। সবগুলো ম্যাচই হয়তো ভারতের দক্ষিণ শহরগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে। যেমন বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদ। টুর্নামেন্টে এখনও সাতটি দল প্লে-অফে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে টিকে আছে। বাদ পড়েছে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও রাজস্থান রয়্যালস।