বাণিজ্য ডেস্ক:
স্থবির হয়ে পড়ছে হিলি স্থল বন্দরের আমদানি বাণিজ্য। আগে এই বন্দর দিয়ে ২০০ ট্রাকের উপরে পণ্য আমদানি হলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০ এর নিচে। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
প্রতিদিন সকাল থেকে পাইকারের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বন্দরটি। সময়ের সাথে সে চিত্র যেন পাঠিয়েছে অনেকটাই। বন্দরের প্রবেশ করলে দেখা যাবে অনেকটাই ফাঁকা। মাঝে মাঝে ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। বন্দরের অভ্যন্তরে লম্বা সেডের নিচে শত শত শ্রমিকরা শুয়ে আছে। কেউ আবার বসে সময় কাটাচ্ছে।
আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এত স্থবিরতা কেন এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্থলবন্দরের শ্রমিক সেকেন্দার আলী বলেন, কি বলব আর, বলার মতো ভাষা যেন হারিয়ে ফেলেছি। বন্দরের কাজকাম এতটাই খারাপ কিভাবে সংসার চালাব সেটাই ভেবে পাচ্ছি না।
কথা বলতেই বন্দরের আরেক শ্রমিক মকছেদুর রহমান বলেন, প্রতিদিন বন্দরে আসি কামায় হবে আশায় প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টাকা খরচ হয় সারাদিনে একটি ট্রাক পাই আবার কোনো দিন খালি হাতে ফিরে যেতে হয়।
হিলি পানামা পোর্ট লিং লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন প্রতাপ মল্লিক বলেন, এর আগে প্রতিদিন ভারত থেকে ২০০ থেকে ২৫০ ট্রাক হিলি স্থল বন্দরে প্রবেশ করত। বর্তমানে সে চিত্র যেন অনেকটা পাল্টিয়েছে। এখন আমদানি পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ এর নিচে। আমদানি বাণিজ্য কমে যাওয়ায় সরকারের রাজস্ব যেমন কমেছে পানামা পোর্টের দৈনন্দিন আয় ও কমেছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম পলাশ বলেন, দেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর হিলি।এই বন্দর দিয়ে আগে আমদানি-রফতানির গতি ভালো থাকলেও এখন তা থমকে গেছে। কারণ ভারতে প্রতিনিয়ত পণ্যের দাম বাড়ছে তাছাড়া ব্যাংক গুলো থেকে চাহিদা মত এলসি না পাওয়ার কারণে কমেছে পণ্যের আমদানি। কিছুদিন আগেও এই বন্দর দিয়ে ২০০ থেকে ২২০ ট্রাক পণ্য আমদানি হলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০০ নিচের যার ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, পাথরের আমদানি বেশি হয়ে থাকে। গেল অর্থ বছর অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে ভারতীয় ৩৬ হাজার ৭৩২ ট্রাকে ১২ লক্ষ ৯১ হাজার ৭১৪ মেট্রিক টন।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গেল ৩ মাসে এই বন্দর দিয়ে ভারতীয় ৭হাজা ২৭৪ ট্রাকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৪২।