বাণিজ্য ডেস্ক:
আবু হাশেম রেজা দুটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করছেন। দুটি শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা, সারের ডিলার, কাগজ আমদানি, গাড়িসহ অন্য ব্যবসা রয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীতে নাম লিখিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন কৌশলে। নানা কারণে তিনি আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছেন নিজ এলাকায়। মামলাও হয়েছে একাধিক। একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আবু হাশেম রেজা ঢাকার বাসিন্দা। নেই তেমন কোনো অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ।
স্ত্রীর আছে শুধু ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। মোটা অংকের আয় আসে ব্যবসা থেকে। আয় করেন বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছেন দীর্ঘদিন। আবু হাশেম রেজা আওয়ামী লীগ থেকেও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
মো. আবু হাশেম রেজা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি গ্রামের মো. ছাব্দার আলীর ছেলে। ব্যবসা ও পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রকাশক হওয়ায় ঢাকাতেই বসবাস।
মো. আবু হাশেম রেজার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা থেকে জানা যায়, ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেননি। ঋণের দায় থেকে তিনি মুক্ত আছেন। ঢাকাতে অভিজাত এলাকায় স্থাবর সম্পদ রয়েছে তার। ৪টি ফ্লাট রয়েছে। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অকৃষি জমি, কৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালানসহ অন্য কোনো কিছুই নেই। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামে এক ইঞ্চিও স্থাবর সম্পদ নেই কোথাও।
অস্থাবর সম্পদ রয়েছে তার ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার ২১০ টাকার। স্ত্রীর আছে শুধু ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। নগদ টাকা রয়েছে ৫ লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২৬ লাখ টাকা, সঞ্জয়পত্র রয়েছে ২৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪৬ টাকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, প্রাইভেটকার তিনটি ও দুটি ট্রাক, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ ১ কোটি ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪ টাকা। স্ত্রীর নগদ ও ব্যাংকে ১ টাকাও নেই। নেই আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী। শুধু আছে ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। গাড়ি ও বাড়ি নেই।
বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া পান বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে সর্বোচ্চ আয় করেন বছরে ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ৬১৩ টাকা। স্ত্রীর একটি টাকাও আয় নেই বছরে।
মো. আবু হাশেম রেজার নামে একটি মামলা চলমান থাকলেও দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। দামুড়হুদা আমলি আদালতে ১৪৩/৩২৩/৩৪১/৫০৬ ধারায় পেনাল কোডে মামলা চলমান রয়েছে। দামুড়হুদা ও দর্শনা আমলী আদালতের দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
হলফনামায় তিনি সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন এলএলএম। পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। তিনি চুয়াডাঙ্গা ২ আসন (দামুড়হুদা-জীবননগর) থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করছেন। তিনি কোটি টাকার মালিক।