আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়েছে তুরস্কের কমিউনিকেশন অথোরিটি। তুরস্কের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হামাস-সম্পর্কিত কন্টেন্টে ‘সেন্সরশিপ’-এর জন্য ইনস্টাগ্রামের সমালোচনা করার পর দেশটিতে এ সামাজিক মাধ্যম বন্ধের ঘোষণা এলো।
তুর্কি কমিউনিকেশন অথোরিটির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার (২ আগস্ট) নেয়া এক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ইনস্টাগ্রাম ডটকমকে ব্লক করে দেয়া হয়েছে। তবে বন্ধের কারণ বা কতদিন দেশটিতে ইনস্টাগ্রাম বন্ধ রাখা হবে তা উল্লেখ করা হয়নি।
সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্সির কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ফাহরেত্তিন আলতুন অভিযোগ করে বলেন, হামাস নেতা হানিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে করা সমবেদনামূলক পোস্টগুলো ব্লক করে দিচ্ছে ইনস্টাগ্রাম।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আরও বলেন, খুব সাধারণভাবেই এটা সেন্সরশিপ। এ সময় তিনি বাক-স্বাধীনতা রক্ষার কথাও উল্লেখ করেন।
আলতুন বলেন, আমরা এসব প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে থাকব, যা বারবার দেখিয়েছে যে তারা শোষণ ও অবিচারের বৈশ্বিক ব্যবস্থার পক্ষেই কাজ করে। আমরা প্রতিটি সুযোগে এবং প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে দাঁড়াব।
উল্লেখ্য, ইরানের রাজধানী তেহরানে হত্যার শিকার হয়েছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। বুধবার (৩১ জুলাই) এক বিবৃতিতে হানিয়ার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে হামাস।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে জানায়, হানিয়া যে ভবনে অবস্থান করছিলেন, সেখানে হামলা চালানো হয়। এতে তিনি ও তার একজন দেহরক্ষী নিহত হন। এতে আরও বলা হয়, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন।
তবে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের তেহরানে যে গেস্টহাউসে তিনি অবস্থান করছিলেন সেখানে আগে থেকেই একটি বিস্ফোরক ডিভাইস পেতে রাখা হয়েছিল। সেটা ব্যবহার করেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
দুই ইরানি ও একন মার্কিন কর্মকর্তাসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাত কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হত্যার প্রায় দুই মাস আগে ওই গেস্টহাউসে বোমাটি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।
সূত্র: আলজাজিরা