বাণিজ্য ডেস্ক :
চীন তাদের জাতীয় মুদ্রা শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের প্রধান রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে অফশোর ইউয়ান মজুতের সময় তাদের ডলারের হোল্ডিং বিক্রির জন্য প্রস্তুত হতে বলেছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৩টি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, স্টেট ব্যাংকগুলোকে তাদের হংকং, নিউইয়র্ক ও লন্ডনে অবস্থিত শাখাগুলোসহ তাদের অফশোর শাখাগুলোয় ইউয়ানের মজুত পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মার্কিন ডলারের রিজার্ভ বিক্রির জন্য প্রস্তুত কি না, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
গেল প্রায় তিন দশকের মধ্যে মার্কিন ডলারের তুলনায় চীনা মুদ্রার সবচেয়ে বেশি বার্ষিক দরপতন হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মান ১১ শতাংশের বেশি কমেছে। মুদ্রাটির আরও পতন এড়াতে একযোগে ডলার বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, দুর্বল হওয়া ইউয়ানের মান রক্ষার জন্য ডলার বিক্রির পরিধি এ দফায় ‘বরং বড়’ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পায়নি।
তবে কী পরিমাণে ডলার বিক্রি করা হবে, তা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। কারণ, ইউয়ানের গতিবিধি মূলত ডলারের গতিবিধি আর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাঠোর হওয়ার গতিপথের ওপর নির্ভরশীল।
এর আগেও ইউয়ানের দর রক্ষার জন্য চীন অফশোর ইউয়ানের বাজারে হস্তক্ষেপ করেছে। ২০১৫ সালে এক দফায় চীনা মুদ্রার ২ শতাংশ অবমূল্যায়নের পর চীন তাদের ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিক্রি করে দেয়। এতে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বাজারে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।