জাতীয় ডেস্ক :
সুপথে ফেরার পুরস্কার হিসেবে বই এবং ফুল দিয়ে কথিত হিজরতের নামে গৃহত্যাগী ৯ তরুণ- তরুণীকে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাদের প্রত্যেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হয়।
সোমবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর উত্তরায় বাহিনীর সদর দফতরে ‘নব দিগন্তের পথে’ নামক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টানা ১১ দিন পর সন্তানদের দেখা পায় অভিভাবকরা। সন্তানের দেখা পেয়ে আনন্দের পাশাপাশি অভিভাবকদের চাওয়া বিপথগামীরা যেন সুপথে ফেরে।
গত ২২ ডিসেম্বর কথিত হিজরতের উদ্দেশে এক সঙ্গে ঘর ছাড়েন ৯ তরুণ-তরুণী। যাদের কেউ দিয়েছেন দাখিল পরীক্ষা, কেউ আলিম। বয়স ১৬ থেকে ২০। চট্টগ্রাম থেকে উদ্ধারের পর নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে র্যাবের কাছে পরিবারে ফেরার আবেদন জানায় তারা।
গৃহত্যাগী তরুণ- তরুণীদের প্রত্যেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত ইসলামী গ্রুপের মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। এরপর হিজরতের উদ্দেশে পরিকল্পিতভাবে ঘর ছাড়েন তারা।
অপরিচিত কারও কাছ থেকে ধর্মের ব্যাখা না নেয়ার পাশাপাশি সন্তানদের প্রতি পরিবারের সদস্যদের আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান আলেম মুফতি মানসুর আহমাদ।
তিনি বলেন, ‘ইসলামকে জানার সূত্রটা কী হবে? কোথা থেকে আমি জানব? এই একটা মৌলিক ব্যাপারে যখন আমরা ভুল করি, তখন অন্য সব ভুল এ জায়গা থেকে তৈরি হয়।’
জঙ্গিবাদ একটি আদর্শিক সমস্যা উল্লেখ করে ধর্মের অপব্যাখ্যা রুখতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমনে র্যাবের ভূমিকা অনন্য। যদিও জঙ্গিবাদ এখনও পুরোপুরি নির্মূল করা যায়নি, তবুও র্যাবের অভিযানের কারণে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জঙ্গিবাদ একটি আদর্শিক সমস্যা। এটা মোকাবিলায় প্রয়োজন ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা।’
২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ ২০ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব।