জাতীয় ডেস্ক :
সুন্দরবনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঘ শুমারির উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
বাঘের পাশাপাশি এবার হরিণ ও শূকরও গণনা করা হবে। সুন্দরবনে পশ্চিম বন বিভাগের খুলনা রেঞ্জের কালাবগি এলাকায় রোববার ক্যামেরা স্থাপন শুরু করেন প্রশিক্ষিত কর্মীরা। এ সময় বাঘের নমুনা ছবিও তুলে পরীক্ষা করা হয়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পে ক্যামেরা ট্র্যাপিং ও খাল সার্ভের মাধ্যমে বাঘ গণনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে বনের খালের দুইপাশে জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে বাঘের গতিবিধি ও পায়ের ছাপ লক্ষ্য করার কাজ করা হবে। এই প্রকল্পে সুন্দরবনের ৬৬৫টি স্থানে জোড়া ক্যামেরা বসানো হবে। ২০২৪ সালের মার্চে গণনার ফলাফল প্রকাশ করবে বন বিভাগ। এছাড়া বাঘ সংরক্ষণেও নানা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়ছে। এরমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সময় আশ্রয়ের জন্য ১২টি মাটির কিল্লা স্থাপন, ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।
বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের পরিচালক ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মোহসিন হোসেন বলেন, ‘বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পে ক্যামেরা ট্র্যাপিং ও খাল সার্ভের মাধ্যমে বাঘ গণনা করা হবে। প্রাথমিকভাবে বনের খালের দুইপাশে জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালে হওয়া সবশেষ জরিপে সুন্দরবনে মোট ১১৪টি বাঘ পাওয়া গেছে। এবার বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।’
উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার শুধু সুন্দরবনই নয়, বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয়েরও অন্যতম মাধ্যম। বাঘ, বন্যপ্রাণী ও সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের নানান পরিকল্পনা রয়েছে। এসব উদ্যেগ বাস্তবায়ন হলে একদিকে নিরাপদ হবে বাঘের আবাসস্থল, অপরদিকে বাড়বে বাঘের সংখ্যাও। সমৃদ্ধ হবে সুন্দরবন।’