হোম জাতীয় সামান্য লোভে নিয়ম না মেনেই উঠছে ভবন, দিতে হচ্ছে জীবন বলি

সামান্য লোভে নিয়ম না মেনেই উঠছে ভবন, দিতে হচ্ছে জীবন বলি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 79 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে ঢাকা শহর। গড়ে উঠেছে এবং উঠছে বড় বড় অট্টালিকা। তবে সামান্য লাভের আশায় নিরাপত্তার কথা না ভেবে আর নিয়ম নীতি না মেনেই গড়ে তোলা হচ্ছে ভবনগুলো। এতে বাড়ছে দুর্ঘটনা আর প্রাণহানি।

রাজধানীর বেইলি রোডে এমনই একটি ভবন গ্রিন কোজি কটেজ। যেখানে ছিল কোনো ধরনের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে বৃহস্পতিবার রাতে ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারাতে হয়েছে ৪৬ জনকে।

ভবনের ব্যবসায়ীরা জানান, ভবনটিতে ছিল না পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা। ছিল দুটি লিফট ও ওঠানামার জন্য একটি মাত্র সরু সিঁড়ি। তাও ভবনের মাঝামাঝি জায়গায়। এছাড়া ছিল না বায়ু প্রবাহ কিংবা বের হওয়ার বিকল্প পথ।

রাজধানীতে এমন ভবনের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বেশিরভাগ ভবনেই নেয়া হয় না অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকি বেইলি রোডের অন্য ভবনগুলোতেও একই পরিস্থিতি।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, অন্য ভবনগুলোতেও নেই অগ্নি নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। দুর্ঘটনা কবলিত ভবনটিকেও তিন বার দেয়া হয়েছিল ঝুঁকি থাকার নোটিশ।

ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘বেইলি রোডের ওই ভবনকে পূর্বে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ভবনের মালিককে তিনবার নোটিশ পাঠানো হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ভবনে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এ কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।’

আগুন লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা নিচতলার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।’

বেইলি রোডের আরও বেশ কয়েকটি ভবনেও অগ্নি নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থা নেই বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের মহা পরিচালক।

ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহা পরিচালক এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, প্রকৌশল শৈলীতে সব সমস্যা। ভবন মালিকরা সামান্য লাভের জন্য পারলে সিঁড়ি না রেখে ভবন তৈরি করতে চায়।

ঢাকার সব রেস্টুরেন্টই বিপজ্জনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বেইলি রোডের ওই ভবনে কমপক্ষে তিনটি সিঁড়ি থাকার প্রয়োজন ছিল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবন মালিক থেকে সিটি করপোরেশন কেউ দায় এড়াতে পারে না।

এদিকে দুর্ঘটনার পর পরিদর্শনে এসে শহরের অন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন শনাক্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কোরপোরেশন রাজউককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন