সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ মানেই বাংলাদেশের মেয়েদের দাপট। আরও একবার সুযোগ সেই দাপট ধরে রেখে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দেওয়ার। গত সেপ্টেম্বর থেকে এই পর্যন্ত জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলের খেলায় তিনবার ফাইনালে উঠেছে বাংলার বাঘিনীরা। আবারও ফাইনালে নারীরা। সুযোগ আরেকটি শিরোপা জয়ের। প্রতিপক্ষ নেপাল।
একদিকে গত বছরের সাফের শিরোপা হারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া নেপাল। অন্যদিকে বাংলাদেশ চায় ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শিরোপা ধরে রাখতে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মেগা ফাইনাল শুরু সন্ধ্যা ৬টায়।
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন দুদলের কোচ ও অধিনায়ক।
শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে নেপাল। তাই নেপালকে সমীহ করছেন বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, ‘নেপাল শক্তিশালী দল, তারা ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে। আমরাও শক্তিশালী। ভালো একটা ফাইনাল হবে বলে আশা করছি। সুযোগ আসবে, তবে যারা সেটা কাজে লাগাতে পারবে, তারাই শেষ হাসি হাসবে।’
বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে মরিয়া নেপাল কোচ ইয়াম প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা সম্পর্কে জানি। আমি আমাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই বলতে চাই না। আমরা তাদের হারিয়ে শিরোপা নিয়েই ঘরে ফিরতে চাই। মাঠ, কন্ডিশন, দর্শক সব দিক দিয়েই স্বাগতিকরা আমাদের থেকে এগিয়ে থাকবে। তবে আমরা ভারতকে হারিয়ে যে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি, ফাইনালে সেটাই কাজে লাগাতে চাই।’