হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরা শহরের ডক্টরস্ ল্যাব কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে  শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে এনে  সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা শহরের ডক্টরস্ ল্যাব কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে  শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে এনে  সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক
০ মন্তব্য 713 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা শহরের ডক্টরস্ ল্যাব থেকে মেডিকেল টেষ্ট না করায় ভর্তি না নেয়ায় কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল মুকিত।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মেয়ের কিছুদিন আগে খুব জ¦র হওয়ায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আজিজুর রহমানের কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তারকে বললাম আমার বাচ্চার জ¦র হয়েছিল সেখান থেকে খুব শ^াসকষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ডাক্তার ব্যস্ততা থাকায় আমার বাচ্চাকে ভালোভাবে না দেখে তাকে ডক্টরস্ ল্যাবে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এর আগে তিনি ৬শ’ টাকা ভিজিট গ্রহণ করেন।

এসময় তিনি নিজের প্যাডে একটি প্রেসক্রিপশন করে দিয়ে কয়েকটি টেস্ট করার পরামর্শ দেন। ডাক্তারের কথামত ডক্টরস্ ল্যাবে যাওয়ার পর ২টি পরীক্ষা করতে প্রায় ৪,৫০০/- টাকা লাগবে বলে তাকে জানানো হয়। এসময় আমি টেষ্ট গুলো সেখান থেকে না করে সাতক্ষীরা সি বি হসপিটাল থেকে মাত্র ১১৫০ টাকায় ওই টেষ্ট গুলো করিয়ে নেই। পরে আমরা আবার ডক্টরস্ ল্যাবে চলে যাই। রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় আমরা রিপোর্ট নিতে পারিনি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডক্টরস ল্যাবে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ বলেন টাকার অংক শুনে আপনারা রোগী ভর্তি না করে চলে গেলেন সি বি হসপিটালে। এখন আবার এখানে যোগাযোগ করছেন কেন? তখন আমি বললাম রোগী ভর্তি করার জন্য আসলাম। কিন্তুু ডাঃ আজিজুর রহমানের প্যাডে ভর্তি করার কথা লেখা না থাকার কারন দেখিয়ে ডক্টরস ল্যাবের কর্তৃপক্ষ রোগী ভর্তি করেননি। রোগী ভর্তি করাতে হলে ডাক্তারের অনুমতি প্রয়োজন হবে বলে তারা জানান।

তিনি আরো বলেন, আমি অনুমতি নেয়ার জন্য তৎক্ষণিক ডাক্তারের বাসায় যাই। ডাক্তারের সহকারি বলেন, আপনারা তো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে রোগীকে ভর্তি না করে নিয়ে গেছেন। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী একসপ্তাহ পর যোগাযোগ করবেন। তবে টেস্টগুলো আপনাদের ডক্টরস ল্যাব থেকেই করতে হবে, তা না হলে ডাক্তার সাহেব দেখবেন না। একথা শুনে আমরা রোগীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। সদর হাসপাতাল থেকে রোগীকে খুলনায় রেফার্ড করার জন্য বলে। কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে আর বাচ্চাকে বাঁচানো যায়নি।

তিনি বলেন, বাবা হিসেবে আমার প্রার্থনা আর কোন শিশু বাচ্চা যেন ডাক্তার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারনে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ না হারায়। তিনি তদন্ত সাপেক্ষে এঘটনার সাথে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন