হোম ফিচার সাতক্ষীরা বারের একজনের সদস্যপদ স্থগিত,সাবেক সভাপতি,সম্পাদকের প্রার্থীতা বাতিল, নব নিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারকে শুভেচ্ছা

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান সাইদের সদস্যপদ বাতিল স্থগিত করা হয়েছে।

সোমবার ৩১ জানুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড.আ.ক.ম রেজাওয়ান উল্লাহ সবুজের স্বাক্ষরিত নোটিশে এড. মোঃ সাইদুর রহমান সাইদ বারের চাবি হিসাব রক্ষক মনোরঞ্জন কুমার মন্ডলের নিকট থেকে জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল অর্ডার ১৯৭২ এর ৩২(১) অনুচ্ছেদের বিধান মতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং উক্ত আইনের রুলস ৬৬(৩) এর বিধান মতে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে এবং তাকে রাবে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

তিন দিনের মধ্যে উক্তরুক্ত কার্য্যের স্বপক্ষে লিখিত বক্তব্য মজা না দিলে তাকে চিরতরে সদস্যপদ বাতিল করা হইবে। এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বার কাউন্সিলে অভিযোগ পাঠানো হইবে বলে এড. সাইদ কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার ৩১ জানুয়ারি বারের নিয়মিত সভার সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন (২) স্বাক্ষরিত সিন্ধান্তে বাজেট অতিরিক্ত ব্যায়ের কারনে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১৯-২০ সাবেক সভাপতি এড. এম শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোজাম্মেল হোসেন তোজাম কে অত্র সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে আগামী তিন বছর অংশ গ্রহনে অযোগ্য বলিয়া গঠনতন্ত্র মোতাবেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার হয়েছে বলে জানা গেছে।

সভা শেষে নব নিযুক্ত ২০২২-২৩ সালের নির্বাচন কমিশনারকে শুভেচ্ছা জানান সহকর্মীরা। গত ২৭ জানুয়ারি বারের নির্বাচন কমিশনারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারনে উক্ত তারিখে সভাপতি এড. আবুল হোসেন (২)ও সাধারণ সম্পাদক এড.আ.ক.ম রেজাওয়ান উল্লাহ সবুজের স্বাক্ষরিত এড. এস এম হায়দার কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে পাঁচ সদস্যসের কমিশনের নিয়োগ দেন।

অন্যরা হলেন এড. শফিকুল ইসলাম, শম্ভুনাথ সিংহ, খায়রুল বদিউজ্জামান, শাহানওয়াজ পারভীন মিলি। অন্যদিকে গত ২৭ও ৩০ জানুয়ারী কমিটির ৮ জন পদত্যাগ পত্র জমাদেন কমিশনারের কাছে। কমিটির ৮ নেতা পদত্যাগের ফলে কার্যকরি পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ পদত্যাগ করেছেন এবং তাদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনার এড. কু- তপন কুমার।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৮ জন পদত্যাগ করায় সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১ খ -এর ৪ এর (চ) ধারা অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি সন্ধায় কার্যকরি পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন।বারের সভাপতি এড. আবুল হোসেন(২) বলেন গত ২৭ জানুয়ারি এড. এস এম হায়দারকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সুতরাং পুরাতন নির্বাচন কমিশনার ৩০ জানুয়ারি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন কিভাবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার। সাবেক সভাপতি এড আহ আলম বলেন বাজেট তো অনুমান করে করা হয়। অতিরিক্ত ব্যায় আমি করিনি। তাছাড়া আমার মানসম্মান নষ্ট করার জন্য প্রতিপক্ষরা এগুলো করেছে।

এড. মোঃ সাইদুর রহমান সাইদ বলেন আমরা গত ২৭ জানুয়ারি ৮ জন পদত্যাগ করেছি। ১১ জন কমিটির মধ্যে ৮ জন পদত্যাগ করার কারনে নির্বাচন কমিশন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন। বর্তমান কমিটি ও নির্বাচন কমিশন বৈধ্য না। এজন্য আমি বলেছিলাম বন্ধ করতে বারের কর্মচারি বন্ধ করে করেছিলো আমি করিনি। যেহেতু আমি জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলাম চাবিটা আমার কাছে দিয়েছিলো। কিছুক্ষণ পরে আমি চাবি ফেরত দিয়ে দিয়েছিলাম। ২০২০-২১ নির্বাচন কমিশন এড. এড তপন কুমার কুন্ডুর মোবাইল একাধিক বার ফোন দিলে রিছিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন