হোম অন্যান্যসারাদেশ সাতক্ষীরা পি,এন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা পি,এন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

কর্তৃক
০ মন্তব্য 581 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা পি.এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের নির্বাচন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, পি,এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভদ্রকান্ত সরকার। তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ি বিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে আগামী ইং-০৭ এপ্রিল। সেজন্য কমিটি গঠনে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গত ২৮ জানুয়ারি আবেদন করা হয়। আবেদনের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার টালবাহানা করে ০৪ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আমজাদ হোসেনকে প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দেন।

প্রিজাইডিং অফিসার ০৬ ফেব্রুয়ারি ১৫৬ নং স্মারকে ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার (আজ) নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেন। এবং ০৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় তফসিল প্রকাশ করেন। একই সাথে বিষয়টি বহুল প্রচারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় নোটিশ বোর্ডে তফসিল ঝুলানো হয়। সে মোতাবেক ২৫ জন অভিভাবক মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন এবং ২৫ জনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে ১৫ জন অভিভাবক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন এবং বাকী ১০ জন অভিভাবক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য চূড়ান্ত তালিকাভুক্ত হয়।

প্রিজাইডিং অফিসার তফসিল মোতাবেক ভোট গ্রহণ হবে বলে আশ^াস প্রদান করেন। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার আমাজাদ হোসেন শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০ টার দিকে হঠাৎ মোবাইল ফোনে জানান, বিশেষ কারণে নির্বাচন পেছানো হয়েছে। কিন্তু কি কারণে ভোট গ্রহণ পেছানো হলো জানতে চাইলে তিনি তার সদুত্তর দিতে পারেননি।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরো জানান, এমন কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি নির্বাচন পেছানোর। ইতোপূর্বে প্রিজাইডিং অফিসার জানিয়েছিলেন একটি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন শেখ নূরুল হক, শেখ আলাউদ্দীন, মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও রেহেনাজ পারভীন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি গঠনের রেজুলেশনে উল্লেখ আছে। তাদের স্বাক্ষরও আছে। যারা অভিযোগ করেছে তারা কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নন এবং তাদের কোন সন্তানাদি বর্তমানে অধ্যায়নরত নয়। কিছু স্বার্থন্বেষী ব্যক্তি নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য বিদ্যালয়ের মান নষ্ট করার জন্য এ হীন মানষিকতার পরিচয় দিয়েছেন। রাতের অন্ধকারে দরখাস্ত দেওয়া এবং কোন তথ্য জানেনা বলে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তা আদৌ সত্য নয়।

তিনি আরো জানান, আগামী ০৫ মার্চ এর মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করে বোর্ডে দাখিল করতে হবে। তা না হলে আইনগত অসুবিধায় পড়তে হবে।
তিনি জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি আজ শনিবার ভোটাররা উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে ভোট প্রদান করতে এসে বিমুখ হয়ে পড়েন। কি-কারনে, কার ইশারায় নির্বাচন বন্ধ হল জানতে চায় সাতক্ষীরাবাসী।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, রাত ৯ টার মধ্যে বিষয়টি আলোচনা করে মিটিয়ে ফেলা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, অভিভাবক সদস্য আশরাফুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, আমজেদ হোসেন, আব্দুর রহমান চঞ্চল ও ছালমা পারভিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন