নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারনে দীর্ঘ তিন মাস আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দেশের অপর সম্ভাবনাময় বন্দর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে গত অর্থ বছরে মোটা অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ বন্দরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ১১’শ ৮৬ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ৫’শ ৮৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। আর রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ৬’শ ২ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা।
আর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ভোমরা স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ হাজার দুই কোটি ৫ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে, চলতি অর্থবছরের পহেলা জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৫ কোটি ৩৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
ভোমরা স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে এ বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকায় এবং ব্যবসায়ীরা ভোমরা বন্দরের তুলনায় অন্যান্য বন্দরে সুযোগ সুবিধা বেশী পাওয়ায় এ বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এ বন্দরের রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এর ফলে সরকার যেমন রাজস্ব আয়ে বাঁধা গ্রস্থ হচ্ছে তেমনি লোকসান গুনছেন ব্যবসায়ীরাও। তিনি আরো জানান, ভোমরা বন্দর থেকে কোলকাতার দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার। এ বন্দর ব্যবহারকারীদের জন্য এটি একটি বড় প্লাস পয়েন্ট। কারন এ বন্দর থেকে পরিবহন খরচ অনেক কম এবং পচনশীল দ্রব্য দ্রæত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌছানো সম্ভব। তবে, অন্যান্য বন্দরের মত ব্যবসায়ীদের এ বন্দর ব্যবহারে সুযোগ সুবিধা দিলে আবারও এ বন্দরের জৌলস ফিরবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক ষ্টেশনের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম জানান, করোনা পরিস্থিততির মধ্যে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকলে সরকারের বেঁধে দেওয়া রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।