নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালা খেশরা এইচএমএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম মোবারক হোসেন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি,স্বেচ্ছাচারিতা,অর্থকোটি টাকা আত্মসাধসহ সীমাহীন দূর্ণীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরারব লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে ০৫.৪৪.৮৭০০.০২৩.০১.০০২.১৯.১৬৯ স্বারক নম্বর হতে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে উম্মে মুসলিমা-সহকারী কমিশনার কর্তৃক উপজেলা নির্বাহী অফিসার তালাকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্জ মোঃ শাহাদাৎ হোসেন, এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গফুর গোলদার, বর্তমান ম্যানিজিং কমিটির সদস্য ময়নুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি কর্তৃক লিখিত অভিযোগে হতে জানা যায়, এইচএমএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম মোবারক হোসেন ২০০৯ সালে খেশরা এইচএমএস বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন। এর পর হতে সীমাহীন দূণীতি ও অর্থ আত্মসাধের কারনে বিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো ও আইন শৃংখলা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে পড়েছে। লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায়, প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে ৮ জন শিক্ষক নিয়োগ দেন।
নিয়োগ প্রাপ্তদের নিকট হতে ৩২ লক্ষাধিক টাকা উৎকোচ হিসেবে গ্রহন করেন। যা স্কুলের কোন কাজ না করে নিজেস্ব ক্ষমতাবলে সম্পূর্ণ টাকা নিজের পকেটে ভরেন। এছাড়া প্রতি বৎসর ৬ বিঘা জমির হারি তোলের যা ১২ বৎসরে ৫ লক্ষাধিক টাকা,স্কুলের পুরাতন বই ও খাতা বিক্রি বাবাদ ১লক্ষ টাকা, নিষিদ্ধ গাইড বই বিক্রি বাবদ ৩লক্ষ টাকা, উপবৃত্তির, বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি জন্য ১ লক্ষ টাকা, এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাকটিক্যাল বাবদ ১ লক্ষ টাকা,এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের এডমিট কার্ড বিতরনের জন্য ১ লক্ষ টাকা, প্রসংশা পত্র ও সাট্রিফিকেট বাবদ ১লক্ষ টাকা,এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে আদায়কৃত ৮০ হাজার টাকাসহ মোট অর্থকোটি টাকা আত্মসাধ করেন।
এ ছাড়া কোচিং ও অন্যান্য পরীক্ষা ফিসের টাকা সহকারী শিক্ষকদের মাঝে সামান্য পরিমান বিতরন করে সকল টাকা নিজের পকেটে ভরেন। ২০১০ সাল হতে অদ্যবদি বিনা রশিদে ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন ও অন্যন্য ফি আদায় করেন। যাতে কেউ হিসাব না নিতে পারে। প্রধান শিক্ষকের দূনীতির বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রকাশ করায় প্রধান শিক্ষক এম মোবারক হোসেন, হরিহরনগর গ্রামের মৃত আঃ সালামের পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাকিমকে প্রকাশ্যে দিবালকে মারতে উদ্ধত হয়।
এর ফলে মুক্তিযোদ্ধা সম্মান বাঁচাতে সেই স্থান ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে আব্দুল হাকিম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধার উপর এমন আচরনের ফলে মুক্তিযোদ্ধসহ এলাকায় ক্ষেপের সৃষ্টি হয়েছে। তার এমন দূণীতির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্ধতন কর্তপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
অনিয়ম দূনীতির অভিযোগের বিষয়ে এইচএমএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম মোবারক হোসেন এর কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে মোটেও জড়িত নই। যে কোন সময় আমার কাছে হিসাব চাইলে আমি তা দিতে পারবো।