আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
পেরুতে তামার খনির কার্যক্রম পুনরায় শুরুর দাবিতে বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। পুনরায় খনি চালুর জন্য আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।
পেরুর রাজধানী লিমায় বন্ধ করে দেওয়া তামার খনি পুনরায় চালুর দাবিতে বুধবার রাস্তায় নেমে আসেন শ্রমিকরা। এসময় তাদের বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তামার শ্রমিকদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
টানা ৩৩দিন বন্ধ লাস বাম্বাস তামার খনি। কাজ করতে না পারায় বেকার হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। এ অবস্থায় খনি চালু করার দাবিতে বুধবার প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভে নামেন তারা। এ সময় খনির কার্যক্রম চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধরা।
এক বিক্ষুব্ধ শ্রমিক বলেন, ৩৩ দিন ধরে কারখানা বন্ধ রয়েছে। তারা এরই মধ্যে শ্রমিক ছাটাই ও শুরু করেছে। আমরা কি এখন না খেয়ে মরবো।? সরকার তো কথা দিয়েছিল ধনী দেশে কেউ না খেয়ে মরবেনা। তাহলে আমাদের সাথে কেন এটা করা হচ্ছে?। আমরা কাজ করতে চাই।
আরেকজন বলেন, আমরা তো কাজ করতে চাচ্ছি। তাহলে তারা আমাদের সাথে এ অন্যায় কেন করছে। আমরা কতদিন কাজ ছাড়া জীবন ধারণ করবো।
গেল মাসের মাঝামাঝিতে ফুয়েরাবাম্বা সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষ খনিতে হামলা চালিয়ে তামা উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। অবরোধের কারণে ২০১৬ সালের পর সবচেয়ে সঙ্কটময় সময় কাটাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তামা উৎপাদনকারী খনিটি। শ্রমিকরা বলছেন, তাদের ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে সরকার। তবে এ বিষয়ে সমঝোতার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তারা।