শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি :
দুঃস্থ-দরিদ্র নন, রীতিমত প্রভাবশালী বংশ মর্যাদাসম্পন্ন খোদ চেয়ারম্যানের পৈত্রিক ভিটেয় বাহারী রঙে চকচক করছে সরকারি ঘর। একটা দুইটা নয় ৩ প্লটে তিনটা পাকা ঘর বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ২নং মির্জাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে। যে ঘর বিলিয়ে দেওয়ার কথা ছিল হতদরিদ্র অভাবী মানুষের মাঝে। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে টিআর-কাবিটা কর্মসূচির আওতায় দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের ২টি ও পূর্ববছরে জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের ১টিসহ মোট ৩টি পাকা সরকারি ঘর নির্মিত হয়েছে উপজেলার হুদামাইলমারী গ্রামে। বর্তমান চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ মকবুল হোসেন তার আপন বড় ভাই মৃত আজিবর মন্ডলের ছেলে নজরুল ইসলাম ও শামছুল ইসলামকে ১টি করে, মেজো ভাই মোকাদ্দেস মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলামের বাড়িতে ১টি পাকা ঘর বরাদ্দ দিয়েছে। আপন ভাই ভাতিজার ভিটেয় সরকারি পাকা ঘর তুলে দেওয়ায় এলাকাজুড়ে চাপা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার মাসুদ রানা নামে এক ব্যক্তি জানান, চেয়ারম্যানের ভাই ভাতিজাদের নামে সরকারি ঘর দিলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করেনা। এছাড়াও আমিরুলের ছেলে ফিরোজুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত কৃষিব্যাংকের কর্মকর্তা, চেয়ারম্যান পরিবারে যথেষ্ট সম্পদ এবং প্রভাব প্রতিপত্তি থাকা সত্বেও চেয়ারম্যানের পৈত্রিক ভিটেবাড়িতে সরকারি ঘর ওঠায় নানা মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শেরপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে নুর ইসলাম চুন্টু অভিযোগ করেন, প্রকৃত গৃহহীন হলেও একাধিকবার চেষ্টা করেও তিনি ঘর পান নাই। জরাজীর্ণ খুপরিঘরে দীর্ঘদিন চুন্টু বসবাস করলেও তিনি সরকারি পাকা ঘর থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শৈলকুপা পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, ২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২টি পাকা ঘর নির্মাণ কমিটির সভাপতি ছিলেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, তাঁর পরিষদের অধীনে পিআইসি কমিটি এ কাজ নকশা মোতাবেক ভালভাবে সম্পন্ন করেছে। তবে ঘরের সুবিধাভোগীর নাম নির্বাচনের বিষয়ে তাদের কিছুই করনীয় নাই। এছাড়াও সাবেক ইউএনও থাকাকালীন ১ লাখ টাকার আরো ১টি ঘর চেয়ারম্যানের ভাতিজা শামছুল ইসলামের অংশে নির্মিত হওয়ার বিষয়টিও মিসগাইড হতে পারে বলে মন্তব্য করেন।