হোম অর্থ ও বাণিজ্য শেষ সময়ে জমজমাট মসলার বাজার, দামও চড়া

বাণিজ্য ডেস্ক:

রাত পোহালেই কোরবানির ঈদ। চলছে শেষ সময়ের বেচাকেনা। মসলার দোকানগুলোতে বেড়েছে ভিড়। তবে দাম বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

বুধবার (২৮ জুন) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, কালীগঞ্জ, আগানগর ও রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

কোরবানি ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। শেষ সময়ে জমে ওঠেছে পশু বেচাকেনা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসলা কেনার ধুম। প্রতিটি দোকানেই বাড়ছে ভিড়।

তবে মসলার দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তারা বলেন, ঈদের আগের দিন হওয়ায় ইচ্ছে করে মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন দোকানিরা।

আব্দুল করিম নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে মসলার দাম অনেক চড়া। শেষ সময়ে সেটি আরও বেড়ে গেছে। জিরা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকার ওপরে। অন্যান্য মসলার দামও বাড়তি।

কেরানীগঞ্জের কালীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ইউসুফ জানান, বাজরে জিরা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ টাকায়। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১০০ টাকা। গত রোজার ঈদেও জিরার কেজি ছিল ৫০০ টাকা। মূলত চাহিদা বেশি থাকার কারণেই দাম বাড়তি। তবে কোরবানি পর কমতে পারে জিরার দাম।

এ ছাড়া অন্যান্য মসলার দামও বাড়তি বলে জানান ইউসুফ। তিনি বলেন, দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, এলাচ প্রকারভেদে ২৪০০ থেকে ২৬০০ টাকা, গোলমরিচ ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা, তেজপাতা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনা মরিচ মানভেদে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা আলুবোখারা ৮৫০ টাকা, কাজুবাদাম ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা ও ধনিয়া ২০০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের ব্যবসায়ী নূর ইসলাম বলেন, আগামীকাল ঈদ। এতে বাজারে ক্রেতার চাপ ও চাহিদা বেড়েছে। তাই মসলার দাম বেড়েছে।

এদিকে বাজারে বাড়তি পেঁয়াজ ও আদার দামও। বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রকারভেদে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩৮০ টাকা পর্যন্ত।

তবে ঈদের আগে ক্রেতার নাভিশ্বাস তোলা বাজারে রসুন বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন