আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন বাণিজ্য চুক্তি’র অগ্রগতি নিয়ে কাজ করছে, যা প্রস্তাবিত শুল্ক ২০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে পারে। এটি হলে, ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় একটি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
শনিবার (১২ জুলাই) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ব্যক্তিদের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস এমনটাই জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, ভারত অন্যান্য অনেক দেশের মতো ট্রাম্পের ‘শুল্ক পত্র’ পাওয়ার আশা করছে না। তারা আশা করছে, একটি বিবৃতির মাধ্যমে বাণিজ্য ব্যবস্থা ঘোষণা করা হবে।
তারা বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তিটি অব্যাহত আলোচনার সুযোগ করে দেবে। এটি নয়াদিল্লিকে ভবিষ্যতে প্রত্যাশিত চুক্তির আগে অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের সুযোগও দেবে।
সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন চুক্তির সময়কাল কতটুকু হতে, তা অস্পষ্ট। বিবৃতিতে সম্ভবত সম্প্রতি প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবিত ২৬% এর তুলনায় – ২০ শতাংশের নিচে নির্ধারণ করা হবে।
ইকোনোমিক টাইমস বলছে, এটি যদি চূড়ান্ত হয়, তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা বাণিজ্য অংশীদারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ভারতও থাকবে।
এসব বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় ই-মেইলের জবাব দেয়নি এবং হোয়াইট হাউস ও বাণিজ্য বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছে ইকোনোমিক টাইমস।
গত বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এনবিসি নিউজকে বলেন, তিনি বেশিরভাগ অংশীদার দেশগুলোর ওপর ১৫% থেকে ২০% পর্যন্ত সর্বনিম্ন শুল্ক আরোপের দিকে নজর রাখছেন – যাদের এখনো শুল্কের হার উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হয়নি।
এশীয় দেশগুলোর জন্য ঘোষিত শুল্ক হার ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইনের জন্য ২০% থেকে শুরু করে লাওস এবং মায়ানমারের জন্য ৪০% পর্যন্ত উঠেছে।
ইকোনোমিক টাইমস অনুসারে, এই বছর বাণিজ্য আলোচনার জন্য হোয়াইট হাউসে যোগাযোগ করা প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত ছিল, তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে চাপের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্প এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে তারা একটি চুক্তির কাছাকাছি।
তবে, ব্রিকস গ্রুপে থাকায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ব্লুমবার্গ নিউজের বরাতে ইকোনোমিক টাইমস উল্লেখ করেছে, আলোচনা এগিয়ে নিতে ভারতীয় আলোচকদের একটি দল শিগগিরই ওয়াশিংটন সফর করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারত ইতোমধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তাদের প্রস্তাবটি পেশ করেছে।