ইবি প্রতিনিধি:
অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বহুল পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সংগঠন “তারুণ্য”।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহ সদরের চন্ডিপুর বিষ্ণুপদ স্কুল এন্ড কলেজের মিলনায়তনে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। এসময় প্রায় ১১০ টি পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়।
কর্মসূচিতে সংগঠনটির সভাপতি মারুফ হোসাইন এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চন্ডিপুর বিষ্ণুপদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান। এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাশরাফী প্রত্যয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, কাম ফর রোড চাইল্ড (সিআরসি) ইবি শাখার সভাপতি শহীদ কাওসার ও তারুণ্যের সুবাসিত সদস্য সাকলাই মোসতাক সহ পঞ্চাশ ঊর্ধ্ব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, শীতবস্ত্র বিতরণের লক্ষ্যে গত এক মাস যাবৎ কুষ্টিয়া শহর, ঝিনাইদহ শহর এবং পোড়াদহ বাজারের বিভিন্ন দোকান, সরকারি বেসরকারি অফিস ও সাধারণ জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সংগঠনটির সদস্যরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, বিভাগ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন তারা। তাদের এই সংগ্রহকৃত অর্থ থেকে প্রায় ১৭০ টি পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে বলে জানান সংগঠনটির সদস্যরা।
তারুণ্যের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান ও দুরন্ত পথিক মাইশা মালিহা চৌধুরীর সঞ্চালনায় সাধারণ সম্পাদক রিফাত মাশরাফি প্রত্যয় বলেন, গত এক মাস ধরে আমাদের সংগঠনের সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই কর্মসূচী সফল করেছেন। প্রচন্ড শীতের মধ্যেও তারা দিন ব্যাপী কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহর, পোড়াদহ বাজার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ সমূহ থেকে ফান্ড সংগ্রহ করেছে। সেই সাথে ঝিনাইদহ অঞ্চলের প্রত্যন্ত ৫টি গ্রাম ঘুরে দুস্থ মানুষকে টোকেন প্রদান করেছে। এসময় তিনি সংগঠনের সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মারুফ হোসেন বলেন, মাঘ মাসের কনকনে শীতে প্রান্তিক হতদরিদ্র শীতার্ত জনগোষ্ঠী প্রচন্ড শীত কষ্টে ভুগেন। অথচ আমরা অনেকেই অতিরিক্ত পোশাক ব্যবহার না করে ফেলে রাখি। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ এসব মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তারুণ্য প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও প্রায় ১৭০ টি পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে চন্ডিপুর বিষ্ণুপদ স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান তারুণ্যের কার্যক্রমগুলোর ভূয়সী প্রশংসা করেন।
প্রসঙ্গত, ‘অবারিত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত তারুণ্য’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০০৯ সালের ২৯ শে জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় ‘তারুণ্য”। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রক্তদানের প্রাত্যাহিক রুটিনকর্ম পালনের পাশাপাশি ক্যাম্পাস অঙ্গনে বৃক্ষরোপন, শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, লিডারশীপ ট্রেনিং, তারুণ্য লাইব্রেরী, বন্যার্তদের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরন, রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরন, ও ক্যারিয়ার বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে থাকে সংগঠনটি।