হোম জাতীয় শিমুলিয়া ঘাটে ‘জিনের বাদশার সোনার মূর্তি’

জাতীয় ডেস্ক :

মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ফেরিঘাট থেকে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নৌ পুলিশ সোনালী রঙের একটি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। এ সময় শরীয়তপুরের নড়িয়ার সাতঘরিয়াকান্দির রাজিয়া সুলতানা ও নুর জামান হাওলাদার নামে এক দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। মূর্তিটির ওজন ৬৩২ গ্রাম।

নৌ পুলিশের আইসি মো. আবু তাহের মিয়া জানান, এ ঘটনাটা একটা প্রতারক চক্রের কাজ। আসলে যাদের আটক করা হয়েছে তারা প্রতারিত হয়েছে। প্রতারক ওনাদের গত তিন দিন আগে রাতে ফোন দিয়ে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে বলেছে, মদিনায় দোয়া হবে, ওখানে তোমার জন্য ও দোয়া করা হবে তুমি তিনটি জায়নামাজের হাদিয়া দিবা জীনের বাদশার কথার ফাঁদে পড়ে জায়নামাজের হাদিয়া পাঠায়।

তাহের মিয়া বলেন, তার পরদিন জিনের বাদশা আবার ফোন দিয়ে বলে তোমাদের জন্য দোয়া করা হয়েছে তোমাদের দোয়া কবুল হইছে। তোমাদের দোয়া কবুলের কারণে তোমাদের জীনের বাদশা খুশি হয়ে মানিক রতন পাঠিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জীনের বাদশা নামধারী বলেছে- শিমুলিয়া ঘাটে আসলেই পাবা এই মানিক-রতন। এটি কাউকে দেখানো যাবে না, তাহলে স্বর্ণ লোহা হয়ে যাবে৷ তার কথামত পরে শিমুলিয়া -১ নম্বর ফেরি ঘাটে গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারের ভিতর থেকে তারা মূর্তিটি নেওয়ার সময় সাধারণের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে অবহিত করে। নৌ পুলিশ মূর্তি উদ্ধার করে আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে এবং চক্রকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ জানায়, জায়নামাজের জন্য প্রতারক বিকাশে দেড় হাজার টাকা নেয়। তবে এই মূর্তি পাওয়ার পর গরু কোরবানির জন্য আরও টাকা বিকাশ করার কথা ছিল। তবে এর আগেই আটক হয়। পরে পুলিশ জিনের বাদশা নামধারীকে ফোন দিলে সে প্রথমে নিজেকে ঢাকার কোতোয়ালি থানার এসআই পরিচয় দেয়। পুলিশ জানতেই ফোনটি বন্ধ করে দেয়।

এদিকে গরু কোরবানির জন্য এই দম্পতি জিনের বাদশাকে দেয়ার জন্য ধার-দেনা করে ২২ হাজার টাকা নিয়ে আসে। পুলিশ এই টাকা উদ্ধার করলেও ঘটনা বুঝতে পেরে ফিরিয়ে দেয়। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে- মূর্তিটি লোহা বা অন্য কোন ধাতুর উপর সোনালী রং করা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন