বাণিজ্য ডেস্ক:
সোনালী ব্যাংক শিগগিরই মালদ্বীপে রেমিট্যান্স এক্সচেঞ্জ হাউস খুলবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির এমডি আফজাল করিম।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
সোনালী ব্যাংকের এমডি আফজাল করিম বলেন, সোনালী ব্যাংক মালদ্বীপে শিগগিরই রেমিট্যান্স এক্সচেঞ্জ হাউস খুলবে।
২০২৩ সালে সোনালী ব্যাংকের অর্জনগুলো তুলে ধরে তিনি জানান, ২০২৩ সালে সোনালী ব্যাংক ৩ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা রেকর্ড মুনাফা করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা বেশি। তাছাড়া নেট সুদ আদায় ৮২৭ কোটি টাকা হয়েছে।
এছাড়া সরকারি ব্যাংকের মধ্যে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১ লাখ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পারফর্মিং লোন বেড়ে যাওয়ায় মুনাফা বেড়েছে।
সোনালী ব্যাংকের এমডি বলেন, বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের মোট ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৩৭ কোটি আমানত রয়েছে। এছাড়া যেখানে ২০০৭ সালে ব্যাংকটির ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি ছিল, সেখানে ২০২৩ সালে তা ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
টাকা পে কার্ড চালুর মাধ্যমে লেনদেনের ফলে সব ধরনের চার্জ কমে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আফজাল করিম বলেন, ব্যাংকের বিভিন্ন সার্ভিসগুলো ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। সোনালী ই-ওয়ালেট সেবার মাধ্যমে যে কোনো জায়গা থেকে একাউন্ট খুলে যে কোনো ধরনের লেনদেন মোবাইলে করতে পারবেন গ্রাহকরা।
প্রবাসী আয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের বৃদ্ধির জন্য মোবাইল অ্যাপস চালু করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬টি দেশ থেকে সহজেই রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা।
খেলাপী ঋণের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে ১ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা খেলাপী আদায় হয়েছে। এমধ্যে শীর্ষ ২০ খেলাপী থেকে আদায় হয়েছে ২৭০ কোটি টাকা। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে আরও বেশি খেলাপী আদায় করা হবে। এ বছর খেলাপী আরও ১২ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশ কমে আসবে।
তাছাড়া বাফেদা ও এবিবি ঘোষিত ডলার রেট যারা মানে না তাদের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যম প্রচার করার আহ্বানও জানান সোনালী ব্যাংকের এমডি।
ফরেন মার্কেটে চাহিদা যোগানে ঘাটতি থাকায় চাপটা বেশি ছিল বলেও জানান তিনি। সোনালী ব্যাংকের এমডি বলেন, সোনালী ব্যাংকে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ এলসি থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপর নির্ভর করতে হয়।