শিক্ষা ডেস্ক :
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও খোলা থাকছে ছাত্রাবাস। সশরীরে ক্লাস না হলেও চলবে টিকাদান কার্যক্রম। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বলছে, স্কুল-কলেজ বন্ধের সময় বিধি না মানলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধের সময় ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। যেখানে বলা হয়েছে, ক্লাস অনলাইনে চললেও খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিস। চলবে ভ্যাকসিন কার্যক্রমও।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, আমাদের যে সব শিক্ষার্থীর টিকার আওতায় আসেনি তাদের টিকা দেওয়া ২৫ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সেজন্য স্কুলে ক্লাস বন্ধ হলেও এটি চলবে।
এই সময়ে বন্ধ থাকবে সব ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। তবে বন্ধকালীন খোলা থাকবে ছাত্রাবাস। চালু থাকবে বিদ্যুৎ, গ্যাস, টেলিফোন ও ইন্টারনেটসহ জরুরি পরিষেবা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, যথারীতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোস্টেল খোলা রাখতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই। কেউ আক্রান্ত হলে তাকে আইসোলেশনে নিতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের এ নির্দেশনা পুরোপুরি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার কথা জানিয়েছেন স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে নেই। সেই জন্য আমরা অনলাইন ক্লাসে প্রবেশ করেছি কেজি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। সবাইকে অনলাইন ক্লাস রুটিন দেওয়া হয়ে গেছে, কাল থেকে ক্লাস শুরু।
সরকারি নির্দেশনা না মানলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর।
ওমিক্রন আক্রান্তদের জটিলতা অপেক্ষাকৃত কম বলা হলেও ঝুঁকিতে বয়স্কসহ দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষজন। সময়ের সঙ্গে হাসপাতালে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এমন রোগী ভর্তির সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন বাড়ার পাশাপাশি ডেল্টা রয়ে যাওয়ায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের জন্য প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা।
এদিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ান উর রহমান বলেন, এটা ঠিক ডেল্টাতে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয় এবং মারা যায় ওমিক্রনে কম। কম মানে হয় না এটা আবার নয়। তাহলে ডেল্টা যদি এক হাজার হয় সেখানে ১০ জন মারা যাবে, কিন্তু ওমিক্রন তো এক সঙ্গে ১০ লাখ হয়ে যাবে, তখন কিন্তু মৃত্যুর নাম্বারটা কাছাকাছি চলে আসতে পারে।
সে জন্য আগে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।