হোম ফিচার শিক্ষক-শিক্ষিকার ফেসবুক মন্তব্যে হতবাক !

শিক্ষক-শিক্ষিকার ফেসবুক মন্তব্যে হতবাক !

কর্তৃক
০ মন্তব্য 82 ভিউজ

আমরা কোন সমাজে বাসকরছি? কিছু কিছু মানুষের আচরণ পশু কেউ হার মানিয়েছে। মহাবিপদে বাঘ-হরিণ,সাপ-বেজি,শত্রু-মিত্র সহবস্থানের গল্প শুনেছি । কিন্তু মহামারী করোনার দুর্যোগে গোটা পৃথিবীর মানুষ আজ দিশেহারা । দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। স্বজন হারানোর আহাজারিতে আকাশ বাতাস যখন ভারী,গোটা জাতি যেখানে শোকে স্তবদ্ধ ।

তেমনি সময় শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক দুই ব্যাক্তির ফেইসবুক স্ট্যাটাস হতবাক করে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে বিবেকের তাড়নায় কিছু লেখার প্রয়োজন অনুভব করলাম। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ।

এদের একজন হলেন জাতীয় নেতা ১৪ দলের সমন্বয়ক সাবেকমন্ত্রী মোঃ নাসিম । অপরজন হলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আবু আব্দুল্লাহ। মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন কালে মোঃ নাসিমের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা সমলোচনা থাকতে পারে । কিন্তু তার পরিবারের কাছে বাংলাদেশ আজীবন ঋণ হয়ে থাকবে ।

কারণ সদ্য প্রয়াত মো: নাসিমের পিতা শহীদ ক্যাপ্টেন মুন্সুর আলী জাতীয় চার নেতার একজন। আর প্রয়াত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আবু আব্দুল্লাহ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস্থ ও ঘনিষ্ঠ সহচর। এমনকি তিনি গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধিত্ব করতেন।

এই দুই নেতার অকাল মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত দেশের কোটি কোটি মানুষ শোকাহত । কিন্তু শিক্ষক নামধারী কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক প্রভাষক মন্ময় মনির এর ফেইসবুক স্ট্যাটাসে ব্যথিত হয়েছি। জীবদ্দশায় কোনো মানুষকে নিয়ে সমালোচনা সহ্য করা যায়। কিন্তু কোনো ব্যাক্তি তার মৃত শত্রুর ও সমালোচনা করে না ।

কিন্তু একজন শিক্ষক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পদের দায়িত্ব পালন করে কিভাবে একই দলের সদ্য প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করতে পারে তা বিশ্বাস করতে ও কষ্ট হয়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আলিপুর ইউনিয়নের সোহানা পারভীন নামের এক স্কুল শিক্ষিকার ফেইসবুক স্ট্যাটাস যথেষ্ট ব্যথিত করেছে।

জানিনা ঐ স্কুল শিক্ষিকার ফেইসবুক আইডি সঠিক কি না? তবে সরকারি চাকুরীজীবি হয়ে সরকারের একজন মন্ত্রীর মৃত্যুতে যে স্ট্যাটাস দিয়েছে সেটা ভাবতেও কষ্ট লাগে। কথা বলছিলাম সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের সাথে । তিনি জানালেন,ফেইসবুক আইডি গুলো যাচাই বাচাই করা হচ্ছে । পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরে ভাবতে কষ্ট লাগে আমরা কোন দেশে বাস করছি ? মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান এক শ্রেণির মানুষ কোনো ক্রমেই বিশ্বাস করতে চায় না। এই দুই শিক্ষক শিক্ষিকা তাদেরই অনুসারী। এরা একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে ,কিন্তু মনের দিক দিয়ে এরা প্রকৃত অর্থে মূর্খ। তাদের এ ধরনের মন্তব্যে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই। নিন্দা জানায়।

রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী
সম্পাদক,সংকল্প নিউজ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন