মাগুরা অফিস:
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনা সপ্তাহ -২০২৩ । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর অ্যান্টিবায়োটিক সচেতনা সপ্তাহ পালন করছে।অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (অকার্যকারিতা) সহনীয় সেবা প্রদানকারীদের সচেতনতা তৈরীতে বিভিন্ন সারা দেশের হাসপাতাল গুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাগুরার শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও বিশ্ব অ্যান্টিবায়োটিক সস্তাহ পালিত হয়।
শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সাইমুন নিছা’র নেতৃত্বে হাসপাতাল চত্বর থেকে সকাল দশটায় বের হয় এক সচেতনতা র্যালী। র্যালীটি শালিখা বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে হাসপাতাল চত্বরে এসে শেষ হয়। অতঃপর সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় আলোচনা সভা। শালিখা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোছাঃ সাইমুন নিছা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সচেতন মূলক বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আব্বাস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিক সরদার ফারুক আহমেদ, বিশিষ্ট ওষুধ ব্যাবসায়ী মোঃ আতিয়ার রহমান প্রমুখ।
এ সময় ডাঃ সাইমুন নেছা বলেন, সারা দেশেই অ্যান্টিমাইক্রোবাইল একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। জীবানুসমূহ অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে পড়েছে। ফলে কম বা বেশী দামি সব ধরনের রোগজীবানু ব্যক্তির জন্য প্রাণঘাতী হওয়া ছাড়াও সমাজে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব তৈরী করতে পারে। তাই এ সংক্রান্ত সচেতনতা তৈরীর কোন বিকল্প ন্ইা ।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা ঠিক নয়। এটির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর। অ্যান্টিবায়োটিক ঠান্ডা বা ভাইরাসজনিত রোগে কোন কাজ করে না। যদি ভাইরাসজনিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়, তবে বিপদজ্জনক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে সকলকে সচেতন হতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করা নিষেধ।