স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। হাসপাতালের ভেতর নেই কোনও পরিচ্ছন্নতার বালাই। রোগীদের শয্যা পরিণত হয়েছে তেলাপোকার আশ্রয়স্থলে। অভিযোগ আছে, বেশির ভাগ সময়ে রোগীর খাবারে পাওয়া যায় পোকামাকড়।
সম্প্রতি লিফটে আটকে রোগী মৃত্যুর পর হাসপাতালের ফ্লোর ধোয়ামোছায় লোক দেখানো তৎপর হয়েছেন পরিচ্ছন্নকর্মীরা। তবে ভেতরের পরিবেশের অবস্থা খুবই নাজুক। নেই তেমন কোনও পরিবর্তন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যে শয্যায় রোগীদের চিকিৎসা চলছে সেখানে কিলবিল করছে তেলপোকাসহ বিভিন্ন ধরণের পোকা। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই দুপুরের খাবার খাচ্ছেন রোগী ও তার স্বজনরা। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, বেশির ভাগ সময় খাবারে পাওয়া যায় পোকামাকড়।
অন্যদিকে তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হলেও তা খুবই নিম্নমানের।
সার্জারি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন খলিলুর রহমান (ছদ্ম নাম)। তিনি বলেন, ‘সকালে ডাক্তার রাউন্ডে নিয়মিতই রোগী দেখেন। সমস্যা হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে। ওয়াশরুমের অবস্থা ভয়াবহ খারাপ। দুর্গন্ধে টেকা দায় রোগীর থাকার পরিবেশ নেই। বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দের খাবারও খাওয়ার মতো না।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক মো.আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘খাবারের মান বুঝে নেয়ার জন্য দায়িত্বে আছেন অন্যজন। এমনটা হওয়ার কথা না। আমি অবশ্য কয়েকদিন হাসপাতালে ছিলাম না। যা হোক, ওদের সাথে কথা বলে দেখছি, খোঁজ নিচ্ছি।’
সম্প্রতি, হাসপাতালটির লিফটে আটকে মমতাজ বেগম নামে এক রোগী ও ১২ তলা থেকে পড়ে জিল্লুর রহমান নামে আরেক রোগীর মৃত্যু হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।