হোম জাতীয় ল্যান্ডিং চার্জ নিয়ে দুই বন্দরে দ্বৈতনীতি

ল্যান্ডিং চার্জ নিয়ে দুই বন্দরে দ্বৈতনীতি

কর্তৃক
০ মন্তব্য 135 ভিউজ

মংলা প্রতিনিধি:

খুলনা বিভাগসহ দেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলে বিভিন্ন শিল্পকারখানা গড়ে উঠলেও নির্মান কাজের জন্য অন্যতম উপাদান সিরামিক শিল্পের বিকাশে বাধাগ্রহস্ত হচ্ছে। এতে খুলনা অঞ্চলে সিরামিকের দামও বেশী পড়ছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশের দুই প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের দ্বৈত নীতির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন এই অঞ্চলের আমদানীকারক ও ব্যবসায়ীরা। তারা চট্টগ্রাম বন্দরের ন্যায় মংলা বন্দরের অবতরণ ফি (ল্যান্ডিং চার্জ) মওকূফের দাবি জানিয়েছেন।
তবে এই বিষয়ে খুলনার ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন খুলনা চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দ বলছেন, এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
সূত্র জানায়, খুলনা অঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ ও বাগেরহাটে দুটি সিরামিক ইণ্ডাস্ট্রিজ রয়েছে। তাদের বিদেশ থেকে আমদানী করা কাঁচামাল মংলা বন্দরের পরিবর্তে খালাস করতে হয় চট্টগ্রাম বন্দরে। সেখান থেকে আবার সড়ক পথে কাঁচামাল আনতে হয় কারখানায়। যা অনেক ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু মংলা বন্দরে যদি কোন ল্যার্ন্ডি চার্জ না নেয়া হতো তাহলে এই বন্দরের মাধ্যমেই সমস্ত কাঁচামাল আনা সম্ভব ছিলো। এতে করে মংলা বন্দরের আরও বেশী জাহাজ আসতো। আর এতে করে মংলা বন্দরের গতিশীলতা আরও বৃদ্ধি পেতো।
খুলনার স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ম্যাক্স শিপিং রে স্বত্বাধীকারী কামরুল ইসলাম বলেন, মংলা বন্দরে ল্যান্ডিং চার্জ মওকূফ করা হলে এখানে জাহাজের আগমন আর বেশী হতো। বার্জ মালিকসহ এই কাজের সাথে জড়িতরা উপকৃত হতো। খুলনা অঞ্চলের ঘাটগুলো থেকে আরও বেশী রাজস্ব আদায় হতো। রেলওয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পন্য পরিবহন হতো এবং রেলওয়েও লাভবান হতো। কিন্তু জাহাজ কম আসায় তা হচ্ছে না।
খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, এই বিষয়ে যদি কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করে তাহলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষরে প্রধান অর্থ ও হসিাব রক্ষন কর্মকর্তা মো. সদ্দিকিুর রহমান বলনে, মোংলা বন্দর সৃষ্টির পর থেকেই ল্যাণ্ডিং চার্জ চলমান আছে। এই আয় থেকে বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও পেনশন দেয়া হয়।
এক প্রশ্নরে জবাবে সিদ্দিকুর রহমান আরও বলনে, চট্টগ্রাম বন্দররে সাথে মোংলা বন্দররে তুলনা করলে তো হবে না, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতি মাসে যেখানে ৩০০ টি জাহাজ আসে, সেখানে মংলা বন্দরে আসে মাত্র ৬০/ ৭০ টি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন