বাণিজ্য ডেস্ক:
লোকসানের আশঙ্কায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত দুই দিন ধরে কোনো কাঁচা মরিচ আমদানি করেনি আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) হিলি পানামা পোর্টলিং লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাফ হোসেন প্রতাপ মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহার ছুটির আগে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে পাঁচটি ট্রাকে ২৭ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। তবে ছুটির পরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কোনো কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি।
এদিকে ঈদুল আজহার ছুটি উপলক্ষে টানা ছয়দিন বন্ধের পর সোমবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টায় ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের মধ্য দিয়ে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি হবার কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত দুইদিনে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ দেশে আসেনি।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, আমদানির খবরে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে যাওয়ায়, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা।
বন্দরের আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যে দামে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ কিনেছি, তার চেয়ে অনেক কম দামে দেশে মরিচ বিক্রি হচ্ছে। তার উপর পরিবহন খরচ তো আছেই। তাই কাঁচা মরিচ আমদানি করিনি।
হিলি স্থলবন্দরের আরেক আমদানিকারক ভোলানাথ বর্মন বলেন, আজ হিলি বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ দেশে প্রবেশের কথা ছিল। তবে লোকসানের আশঙ্কায় সেসব মরিচ আর দেশে প্রবেশ করেনি। সোনা মসজিদ বন্দর দিয়ে মরিচগুলো দেশে প্রবেশ করে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য মোকামে চলে যাবে।
আমদানিকারক আবু তোরাফ বলেন, দেশের বাজারে মরিচের দাম উঠেছিল ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজিতে। বর্তমানে সেটি কয়েকগুণ কমে গিয়েছে। এখন আমদানি করলে কাঁচা মরিচের দাম পড়বে ১৮০ টাকা। অথচ দেশে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে। এতে কাঁচা মরিচ আমদানি করিনি।
কাঁচা মরিচের দাম বাড়ার কারণ জানতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে হিলির বাজারগুলোতে। এর প্রভাব পড়েছে মরিচের দামে। কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, সরকারের এমন অভিযানে কাঁচা মরিচের পাইকারপত্র অনেকটা কমে গেছে। স্থানীয় হাট বাজারগুলোতেও কাঁচা মরিচের দাম কমে গেছে।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, রোববার বিকেল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের ১১ জন আমদানিকারক ৪ হাজার ২০০ টন কাঁচামরিচ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
এদিকে, ঊর্ধ্বমুখী কাঁচা মরিচের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৫ জুন মরিচ আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে দুদিন আমদানির পর ঈদের কারণে বন্ধ ছিল মরিচ আমদানি। তবে ঈদের ছুটি শেষে রোববার (২ জুলাই) থেকে আবারও দেশের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে দেশে আসছে আমদানি করা কাঁচা মরিচ।