জাতীয় ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। যার প্রভাবে সাগর উত্তাল ও সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে মোংলাসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে প্রচণ্ড গরম ও দাবদাহ অনুভূত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের তেমন আশঙ্কা না থাকলেও লাগাতার বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে রোববারও মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস।
বন্দরের পশুর চ্যানেল ও মোংলা ঘষিয়াখালী নদীতে দুপুরের জোয়ারের পানির উচ্চতা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিন ধরে প্লাবিত হয়েছিল সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রটি। তবে ভাটির সময় পানি নেমে যাওয়ায় প্রজনন কেন্দ্রের তেমন ক্ষতি হয়নি। আর বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থলের সেড উঁচু থাকায় জোয়ারের সময়ও সব প্রাণী নিরাপদে রয়েছে বলে জানায় বন বিভাগ।
এদিকে বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহনের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। মোংলা বন্দরে কয়লা ও কিংকারবাহীসহ মোট ১০টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। খাদ্যবাহী ছাড়া অন্য জাহাজের পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।
বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন জানান, সাগরে নিম্নচাপের কারণে ৩ নম্বর স্থানীয় সর্তক সংকেত বহাল রয়েছে। তবে বন্দরের নৌযান সংক্রান্ত সতর্কতামূলক সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মোংলা ও পশুর নদীর পূর্ব পাড়ে কয়েকশ পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ ও ট্যুরিস্ট বোড নিরাপদে নোঙর করেছে। এ ছাড়া বন্দর কেন্দ্রিক চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান ও সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলো নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।