অনলাইন ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করে ঢাকার পূর্ব রাজাবাজারকে গত ৯ জুন থেকে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়েছে। কেমন আছেন লকডাউনবাসী? পূর্ব রাজাবাজারের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরুর দিন থেকেই কেউ না কেউ অপ্রয়োজনেও বের হতে চেষ্টা করেছেন। অভিযোগ তুলেছেন, বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে সবজি। যদিও লকডাউন এলাকার বেশিরভাগ মানুষ বলছেন, এভাবে থেকে যদি করোনার বিস্তার কমে তাহলে ঘরবন্দি থাকার কষ্টটা লাঘব হবে।
লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই নীল অপরাজিতা তার ফেসবুকে ভেতরের রাস্তাঘাট ও মানুষ চলাচলের নানা চিত্র তুলে ধরছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, লকডাউন কড়াকড়িভাবে মানা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল আছে, স্বেচ্ছাসেবকদের তৎপরতা আছে। কিন্তু ভেতরে দোকার খোলা থাকবে বলে আমরা জেনেছিলাম। লকডাউন শুরুর পরে ভেতরের দোকান এমনকি ফার্মেসিও বন্ধ। সেটা দোকানদাররা নিজেরাই করেছেন নাকি প্রশাসন করেছে সেটা আমরা নিশ্চিত নই। নিয়মিত বাইরে থেকে ট্রাকে করে পণ্য আসে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পণ্য আসে কিন্তু সেগুলোর দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। কিন্তু এই অবস্থায় আসলে কিছু করার নেই। যাদের সামর্থ্য আছে তারা প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়েছেন লকডাউনের আগেই। যদি ১৪ দিনের পরেও লকডাউনে থাকতে হয় তখন হয়তো তাদের কেনা পণ্যে টান পড়বে।
রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক আমিন আল রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, লকডাউনভুক্ত এলাকা থেকে ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া কাউকেই ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। যেহেতু দোকানপাট সবই বন্ধ ফলে এই এলাকায় প্রতিদিন সকালে খাদ্যপণ্যবাহী নির্ধারিত ট্রাক আসে। এ সময় মাইকিং করা হয়। ফলে স্বচ্ছল মানুষের খাদ্য সংকট হওয়ার শঙ্কা নেই। যদিও অনেকেই লকডাউন শুরুর আগের দিনই দু-তিন সপ্তাহের জন্য অতি প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে রেখেছেন। তবে গরিব এবং যারা দিনের আয়ের উপরে নির্ভরশীল যেমন ক্ষুদ্র দোকানদার বা এরকম পেশার সঙ্গে যুক্ত, তাদের ঘরে বিনামূল্যে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।