স্পোর্টস ডেস্ক:
ইকুয়েডরের পর এবার বলিভিয়া জয়ের মিশন আর্জেন্টিনার সামনে। তবে, সেখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সবচেয়ে বড় বাধা লাপাজের উচ্চতা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লিওনেল মেসির ইনজুরি। দলের সঙ্গে ভ্রমণ করলেও খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায়।
লাপাজ, বলিভিয়ার রাজধানী। কিন্তু অন্যান্য দেশের ফুটবলারদের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের এক শহর। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৬২৫ মিটার উচ্চতার এই শহরে বরাবরই ম্যাচ খেলতে নেমে নাস্তানাবুদ হন প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা। অক্সিজেনের অভাবে এখানে খেলা তো দূরে থাক, স্বাভাবিক চলাচলেও স্বস্তিবোধ করেন না তারা। কিন্তু, ফিফার নিয়ম, বিশ্বকাপ বাছাই হতে হবে হোম আর অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। তাই তো বছরের এই একটা সময়ে দলগুলোকে যেতেই হয় লাপাজে।
আর্জেন্টিনার জন্য লাপাজ আরও বড় শঙ্কার নাম। ২০০৯-এ আধা ডজন গোল হজম করতে হয়েছিল তৎকালীন ম্যারাডোনার দলকে। এবার সে মাঠেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচেই নামতে হচ্ছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তবে, লাপাজের উচ্চতা কিংবা মাঠে অক্সিজেনের অভাবের চেয়েও আর্জেন্টিনার জন্য বড় শঙ্কার নাম মেসির ইনজুরি। ইন্টার মায়ামির হয়ে টানা ম্যাচ খেলার ধকল সঙ্গে ভ্রমণ ক্লান্তি মিলিয়ে কিছুটা বিধ্বস্ত লিওনেল মেসি। যে কারণে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচেও শেষদিকে তাকে তুলে নিয়েছিলেন স্ক্যালোনি। সেসময় ইনজুরির কথা অস্বীকার করা হলেও, অনুশীলনে তাকে দেখতে না পাওয়ায় বোঝা গেছে আসল কারণ।
তবে, দলের সঙ্গে বলিভিয়াতে এসেছেন ক্ষুদে জাদুকর। অনুশীলনও করেছেন শুরুর দিন। এখন অপেক্ষা মেডিকেল বিভাগের গ্রিন সিগনালের।
আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি বলেন, ‘মেসি পুরোপুরি সুস্থ আছে, সেটা বলব না। ওর হালকা কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে, সেটা বড় কিছু নয়। লিও আমাদের সঙ্গে এখানে এসেছে, অনুশীলনেও যোগ দিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে ও এখন বেশ ভালো অবস্থায় আছে। তবে, ম্যাচের আগে শেষ সিদ্ধান্ত নেব।‘
আকাশি-নীল শিবিরে ইনজুরির সমস্যা রয়েছে আরও কিছু। লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে নিয়ে আপাতত কোনো ঝুঁকি নিতে চাইবেন না স্ক্যালোনি। ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর কিছু সমস্যা থাকলেও, তার খেলা নিয়ে চিন্তা করছে না তারা। ওতামেন্ডির সঙ্গে ডিফেন্স সামলাতে রোমেরোকে পাওয়া যাবে বলেই আশাবাদ আর্জেন্টাইন বসের।
বিশ্বকাপ বাছাই, কোপা আমেরিকা, প্রীতি ম্যাচ এবং কোপা কর্নেলির মতো টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৪২ বার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা এবং বলিভিয়া। যার মধ্যে ৩০ বার জিতেছে আর্জেন্টিনা। আর ৭ বার জয় বলিভিয়ার। অমিমাংসীতভাবে ম্যাচ শেষ হয়েছে ৫ বার।