হোম অর্থ ও বাণিজ্য রফতানিমুখী খাতের প্রণোদনা চালু রাখার দাবি উদ্যোক্তাদের

রফতানিমুখী খাতের প্রণোদনা চালু রাখার দাবি উদ্যোক্তাদের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 32 ভিউজ

বাণিজ্য ডেস্ক:

রফতানিমুখী খাতের প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা হঠাৎ করে যেন বন্ধ করা না হয়; ২০২৪-২৫ বাজেটে সেই দিকনির্দেশনা চান উদ্যোক্তারা। তা না হলে অর্থনৈতিক উত্তরণের পথে পিছিয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৬ সালের নভেম্বরে উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশ। এরপর বিশেষ সুবিধা ছাড়াই রফতানি বাজারে পণ্য বিক্রি করতে হবে উদ্যোক্তাদের, যা চরম প্রতিযোগিতার মুখে ফেলবে তাদের।

উদ্যোক্তারা জানান, এই সিদ্ধান্ত নিলে উদ্যোক্তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কারণ, রফতানি করার জন্য অনেক খরচ হয়ে থাকে। তার চেয়ে এমন পলিসি নিয়ে আসা হোক, যাতে ব্যাংকগুলো আরও সহজে উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়।

সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমন সংকটের সময় দরকার বিকল্প বাজার, পণ্যের বৈচিত্র্যকরণসহ নানা উদ্যোগ। এখনই প্রণোদনা স্থগিতের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হলে আরও চাপে পড়বেন পোশাক মালিকরা।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমই) সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা কমিয়ে দেয়া হলে, এ খাতের ব্যবসায়ীরা চাপে পড়ে যাবেন। তাহলে দেখা যাবে ভবিষ্যতে পোশাক খাতসহ অন্যান্য খাতে নতুন কোনো উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে না।

স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণ হলে স্বাভাবিকভাবেই প্রণোদনাসহ অনেক সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। এই বাস্তবতা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, প্রণোদনা সম্পূর্ণভাবে বন্ধের আগেই এ খাতের দক্ষতা ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা কাটানোসহ উৎপাদন খরচ কমাতে হবে।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, সরাসরি কোনো প্রণোদনা হয়তো এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষে দেয়া সম্ভব হবে না। তবে এ খাতের ব্যবসায়ীদের অন্য আরও সুবিধা বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারে। নতুন রফতানিমুখী শিল্পের জন্য অবকাঠামোগত যেসব সুবিধা, সেগুলো দেয়া যেতে পারে এ ক্ষেত্রে।

বিনিয়োগ পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি কর কাঠামোর সঙ্গে হয়রানি বন্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কার্যক্রমকে পুরোপুরি ডিজিটাল করারও জোর দাবি জানান উদ্যোক্তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন