হোম আন্তর্জাতিক যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল তেল-গ্যাস কিনবে ভারত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল তেল-গ্যাস কিনবে ভারত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 21 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন একটি জ্বালানি চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন, যার আওতায় দিল্লি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিপুল তেল-গ্যাস কিনবে, যেন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসে। খবর বিবিসির।

বৃহস্পতিবার সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বেঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তারা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তারা (ভারত) আমাদের কাছ থেকে অনেক তেল ও গ্যাস কিনতে যাচ্ছে। তাদের এটা দরকার। আর আমাদের কাছে তা আছে।

এ বিষয়ে মোদি বলেন, ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা তেল ও গ্যাস বাণিজ্যের ওপর গুরুত্ব দেব। এ ছাড়া পারমাণবিক জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

মোদি দুই দিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন। তিনি এমন এক সময় যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দেশের বাণিজ্যিক অংশীদারদের বিরুদ্ধে পারস্পরিক শুল্ক আরোপের আদেশ দিয়েছেন। বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বিরোধ আছে। তবে ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে একটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক পুরোনো।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে স্বাগত জানানোর সময় ট্রাম্প বলেন, আমাদের মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক বজায় আছে।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প আরও বলেন, ভারতের কাছে সামরিক হার্ডওয়্যার বিক্রি কয়েক মিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া নয়াদিল্লিকে এফ৩৫ যুদ্ধবিমানও দেবে ওয়াশিংটন।

দুই নেতার আলোচনায় অভিবাসনসংক্রান্ত বিষয় গুরুত্ব পায়। বৈঠকে ট্রাম্প ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত নথিপত্রহীন হাজারো অভিবাসীকে ফিরিয়ে নিতে বলবেন বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল।

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের আগে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। এ বিষয়ে মোদি বলেছেন, মাস্কের সঙ্গে বৈঠকে মহাকাশ, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।

মোদি বলেছেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের চেয়ে তারা (মোদি-ট্রাম্প) দ্বিগুণ গতিতে এবার কাজ করবেন।

মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার কিছু আগে ট্রাম্প তার উপদেষ্টাদের বিশ্বব্যাপী মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর বিস্তৃত পরিসরে নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়টি নিরূপণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই শুল্ক আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে কার্যকর হতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন