হোম জাতীয় যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি-কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে: পলক

যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি-কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে: পলক

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 93 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো দাবি করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী পাঁচ বছর নতুন সরকারের সঙ্গে দেশটির আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে সম্ভাবনার দ্বারগুলো উন্মোচিত হচ্ছে। বিনিয়োগ, রফতানি ও কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। এরআগে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেন পলক।

অনেক মহল বলছে নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নিলেও নিতে পারে, আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আপনি কি মনে করছেন সম্পর্ক মধুর দিকে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশ্বের অন্য দেশগুলো খুব আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিভিন্ন আলোচনার বিষয়বস্তু থেকে মনে হয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক ও সম্ভাবনার সম্পর্ক আরও বেশি সম্প্রসারিত হওয়ার পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ হবে। ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প পূরণে আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছি। এখানে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করবো দুই দেশের জনগণের জন্য, সারা বিশ্বের জন্য।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে কাজ করবে, তা নিয়ে কথা হয়েছে। আলোচনার তিনটি উদ্দেশ্য ছিল। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সফটওয়্যার ও ফ্রিল্যান্সারদের আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় গন্তব্য। যে ৬০টি দেশে আমরা সফটওয়্যার রফতানি করি, আমেরিকা অন্যতম। সেখানে আমাদের আউটসোর্সিংয়ের গ্রাহক অন্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি। কীভাবে এটা আরও বাড়াতে পারি, তা নিয়ে কথা বলেছি।

১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসোর্স ইনোভেশন সেন্টার স্থাপনের বিষয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকার কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সঙ্গে আমেরিকার কীভাবে জি-টু-জি সহযোগিতা হতে পারে এবং আমেরিকার যে কোম্পানিগুলো আছে, বিশেষ করে অ্যামাজন, স্টারলিং, স্পেসএক্স, গুগল ও ফেসবুকের বিনিয়োগ কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি হতে পারে, সেগুলো নিয়ে কথা বলেছি।

তিনি বলেন, আমাদের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমেরিকার প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে। গত পাঁচ বছরে এ খাতে ২৮ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ রয়েছে। আবার বাংলাদেশে এখন ওরাকল, মাইক্রোসফটসহ বেশ কিছু আইটি কোম্পানি কাজ করছে। আরও অনেক কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকর্ষণ করতে চাই। সবশেষ সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন