হোম অর্থ ও বাণিজ্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ: বাংলাদেশের জন্য সুযোগও সৃষ্টি হতে পারে

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ: বাংলাদেশের জন্য সুযোগও সৃষ্টি হতে পারে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 11 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন আমদানি শুল্ক (ট্যারিফ) নীতিকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র তার সব বাণিজ্য অংশীদার দেশের ওপর শুল্ক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করেছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে নানামুখী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যারিফ নীতির ফলে আমাদের তৈরি পোশাক রফতানি খাত খুব একটা ক্ষতির মুখে পড়বে না। বরং বর্তমান প্রেক্ষাপটে কিছু সুযোগও সৃষ্টি হতে পারে।’

প্রতিযোগীদের তুলনায় এগিয়ে বাংলাদেশ

ড. হাবিবুর রহমান মনে করেন, ‘বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে অনেকেই এখন তুলনামূলক বেশি ট্যারিফের মুখে পড়েছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। চীন ইতোমধ্যে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে সেখানে বাংলাদেশ বিকল্প উৎস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের তুলনায় উৎপাদন দক্ষতা ও সক্ষমতায় এখনও অনেক পিছিয়ে। যদিও ভারত একটি সম্ভাব্য প্রতিযোগী, তবে তাদের বর্তমান খরচ কাঠামো এবং দক্ষতা এখনও বাংলাদেশের পর্যায়ে পৌঁছায়নি।’

হাবিবুর রহমান মনে করেন, ‘এই মুহূর্তে সঠিক কৌশল অবলম্বন করা গেলে পরিস্থিতি থেকে কিছু সুযোগও আদায় করে নেওয়া সম্ভব।’

তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যতটা হতাশার কথা আমরা শুনছি, ততটা হতাশ হওয়ার কিছু নেই। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নেগোসিয়েশনে শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।’

বিশ্ববাণিজ্যে নতুন ধাক্কা

যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত মূলত বিশ্ববাণিজ্যের ভারসাম্য পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে অনেক দেশই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শুরু হয়েছে পাল্টা প্রতিক্রিয়াও। তবে এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কোন অবস্থানে থাকবে তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।

‘বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে নিরাপদ অবস্থানে’

ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন ট্যারিফ কাঠামোতে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে না। কারণ আমাদের প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে অনেকেই এখন বেশি ট্যারিফের আওতায় পড়েছে। যেমন—চীন, পাকিস্তান কিংবা ভারত।’

তিনি জানান, চীন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যযুদ্ধ এখন এক নতুন পর্বে প্রবেশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশ কোনও পক্ষ না হওয়ায় আমাদের জন্য কিছু সুবিধা সৃষ্টি হতে পারে। ‘চীন থেকে পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ট্যারিফ বাড়ায়, তাহলে সে বাজারে বাংলাদেশ বিকল্প উৎস হিসেবে সুযোগ পেতে পারে,’ বলেন হাবিবুর রহমান।

পাকিস্তান ও ভারতের অবস্থান

ডেপুটি গভর্নর আরও বলেন, ‘পাকিস্তান আমাদের তুলনায় উৎপাদন সক্ষমতা ও দক্ষতায় এখনও পিছিয়ে। তাই তাদের নিয়ে তেমন উদ্বেগের কিছু নেই। তবে ভারতের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। যদিও তারা এখনও আমাদের মতো কম খরচে উৎপাদনে সক্ষম নয়, কিন্তু ভবিষ্যতে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে। এজন্য এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

পণ্যের ধরনই রক্ষা করছে পোশাক খাতকে

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি দুইটি মূল ধরনে বিভক্ত—একটি হলো ‘কম দামের পণ্য’ (৮৫-৯০ শতাংশ), অন্যটি ‘উচ্চ মূল্যের পণ্য’ (১০-১৫ শতাংশ)। কম দামের পণ্যগুলোর চাহিদা তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। করোনা মহামারির সময় কিংবা ২০০৭-০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটেও এ পণ্যগুলোর রফতানিতে বড় ধস নামেনি।

‘এই পণ্যগুলোর চাহিদা শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব তেমন পড়বে না। তবে উচ্চমূল্যের পণ্য, যেগুলো তুলনামূলকভাবে বিলাসবহুল ও ইলাস্টিক, সেখানে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে,’ বলেন হাবিবুর রহমান।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার তাগিদ

ডেপুটি গভর্নর মনে করেন, ‘এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলী ও গঠনমূলক আলোচনাই হতে পারে বাংলাদেশে জন্য সবচেয়ে কার্যকর পথ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহু পণ্য আমদানি করে, যেগুলোর ওপর কোনও শুল্ক নেই বা খুবই কম। এই বাস্তবতা আলোচনার টেবিলে আমাদের একটা শক্ত অবস্থান দিতে পারে।’

প্রয়োজনে আমরাও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ট্যারিফ কাঠামো পুনর্বিবেচনা করতে পারি বলে মত দেন তিনি।

পুরোনো অর্ডার, নতুন নিয়ম—উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা

একটি বড় প্রশ্ন হচ্ছে—নতুন শুল্ক কাঠামো কার্যকর হওয়ার পর পূর্বে সম্পন্ন হওয়া রফতানি অর্ডারগুলোর কী হবে? সেগুলো কি নতুন ট্যারিফের আওতায় পড়বে? নাকি আগের শর্তই প্রযোজ্য হবে?

ড. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনও কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র যদি পুরোনো অর্ডারগুলোর ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী শুল্ক কাঠামোই প্রয়োগ করে, তাহলে নতুন অর্ডারগুলো সহজেই নতুন নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে।’

সতর্ক, কৌশলী এবং দূরদর্শী হতে হবে

সার্বিক পরিস্থিতিতে ডেপুটি গভর্নরের পরামর্শ, ‘এখনই ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। তবে আমাদের আলোচনায় হতে হবে কৌশলী, কূটনৈতিকভাবে সচেতন ও দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন। পরিস্থিতি ভালোভাবে বিশ্লেষণ করে আমরা যদি সঠিক পথে এগোই, তাহলে এই ঝুঁকিই আমাদের জন্য নতুন সুযোগে রূপ নিতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা এখনও টিকে থাকার লড়াই। কিন্তু তা যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে বাংলাদেশ পারবে লাভবান হতে’—এমন আশাবাদই ব্যক্ত করেন ড. হাবিবুর রহমান।

এদিকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একদিকে যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি সম্ভাবনার নতুন দুয়ারও খুলে দিতে পারে। শনিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা, শিল্পপণ্য ও জ্বালানি পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। বর্তমানে শুল্ক ছাড়াও কিছু অশুল্ক বাণিজ্য বাধা রয়েছে, যেগুলো দূর করার চেষ্টা চলছে। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে আমদানি বাড়ানো একটি কৌশল হতে পারে, তবে তা প্রয়োজনের অতিরিক্ত হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদিও পাকিস্তান ও ভারতের তুলনায় আমাদের ওপর শুল্কের হার কিছুটা বেশি, তারপরও আমাদের শিল্প খাতের অবয়ব ও পণ্যের পরিপক্বতা বিবেচনায় এটি একটি সম্ভাবনাময় সময় হতে পারে।’

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান ওয়াশিংটনে ইউএসটিআরসহ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুলা আমদানি সহজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং এ পদক্ষেপের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানায়, বাংলাদেশই প্রথম দেশ হিসেবে বিষয়টির গুরুত্ব দিয়েছে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে এবং নতুন শুল্ক কাঠামোর মধ্যেও ইতিবাচক সমাধান খুঁজে পেতে পারবে, যা দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন গতি আনবে।

এদিকে অর্থনীতিবিদ মো. ইমরান আহম্মেদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, যদি বাংলাদেশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে বর্তমান ৭৪ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশে নিয়ে আসে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টাভাবে বাংলাদেশের পণ্যে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করতে পারে। এতে দুই দেশের মধ্যে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ছিল ৮.৪ বিলিয়ন ডলার, আর আমদানি ২.২ বিলিয়ন ডলার। বিদ্যমান হারে (৩৭%) যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যে বছরে প্রায় ৩.১১ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আদায় করবে। অপরদিকে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ৭৪ শতাংশ হারে প্রায় ১.৬৩ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আদায় করে। ফলে নিট হিসাবে বাংলাদেশ লাভবান হলেও রফতানিকারকরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন।

কিন্তু যদি উভয় দেশই ১০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপে সম্মত হয়, তাহলে বাংলাদেশের শুল্ক ব্যয় হবে ৮৪ কোটি ডলার, আর যুক্তরাষ্ট্র দেবে ২২ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রায় ৬২০ মিলিয়ন ডলার বেশি শুল্ক দেবে, তবে আগের তুলনায় ৮৬০ মিলিয়ন ডলার কম শুল্ক দিতে হবে, যা রফতানিকারকদের জন্য অনেক সহনীয় হবে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত কৃষিপণ্য, তুলা, সয়াবিন, মেশিনারি ও ওষুধের ওপর শুল্ক কমলে দেশের খাদ্যদ্রব্য, পোশাক খাত এবং শিল্প খরচ কমবে। তুলা আমদানির খরচ কমলে পোশাক উৎপাদন খরচও হ্রাস পাবে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবে।

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করায় অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন দফতরে শুরু হয়েছে জোর প্রস্তুতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে নামছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো ও শুল্ক প্রত্যাহারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করেছে বাংলাদেশ।

শনিবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, বিডার চেয়ারম্যান, বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী নেতা এবং সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগ: হাইলাইটস

১) প্রধান উপদেষ্টা নিজেই ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবেন। তুলে ধরবেন বাংলাদেশের অবস্থান।

২) যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা করা হবে। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আমদানি হবে না।

৩) যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধি সম্ভাবনার দুয়ারও খুলতে পারে, বলে মনে করছে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

৪) ‘নন-ট্যারিফ’ ইস্যু হিসেবে কাস্টমস, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি এবং ডিজিটাল ট্রেড ব্যারিয়ারস যুক্ত হচ্ছে সংস্কার প্যাকেজে।

৫) যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ এবং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের দিকেও নজর।

৬) ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দিয়ে তিন মাস সময় চাওয়ার প্রস্তাব উঠেছে।

৭) আজ রবিবার অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে হবে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক। সকালে বাণিজ্যসচিবও করছেন ভার্চুয়াল আলোচনা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত আকস্মিক নয়। ফেব্রুয়ারিতেই প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেন। তখন ইউএসটিআরসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয়, যেখানে বাংলাদেশের পদক্ষেপকে ইতিবাচকভাবে দেখা হয়।

এদিকে বিডার আলাদা বৈঠকে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, লেদার অ্যাসোসিয়েশন, পিআরআই ও সানেমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠকে মার্কিন শুল্কের প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষতি এবং উত্তরণে সুপারিশ প্রণয়ন হয়।

বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া

শুধু বাংলাদেশ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে চীন পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে এবং ডব্লিউটিওতে মামলা করেছে। ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে সময় চেয়ে চিঠি দিয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন