জাতীয় ডেস্ক:
রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রীবেশে উঠেই দুর্বৃত্তরা ট্রেনে আগুন দিয়েছে বলে ধারণা করছেন রেলওয়ের যুগ্ম-মহাপরিচালক সালাহ উদ্দীন। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে নিজের এ ধারণার কথা জানান তিনি।
সালাহ উদ্দীন বলেন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রীবেশে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে উঠেই হয়তো দুর্বৃত্তরা ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সব উঠে আসবে।
তিনি আরও বলেন, চলমান হরতাল, অবরোধের মধ্যে সারা দেশে রেলওয়ের জন্য ২৫০ থেকে ৩০০টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে অগ্নিসংযোগ ও লাইন কাটার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। ওই স্থানগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর জন্য রেলপুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে টিম গঠন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
এর আগে সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে বলেন, ট্রেনে আগুনের কারণ জানতে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে। পেট্রোল নাকি গান পাউডার দিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে, এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে ট্রেনে আগুন ও প্রাণহানির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে। কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে নেত্রকোনা থেকে ছেড়ে আসে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। ভোর ৫টার দিকে বিমানবন্দর স্টেশন পার হওয়ার পর দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে ট্রেনটি। আতঙ্কিত যাত্রীরা ভেতরে চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন। তবে ট্রেনের চালক বুঝতেই পারেননি আগুন লেগেছে।
চালক বুঝতে বুঝতে ট্রেনটি চলে আসে তেজগাঁও স্টেশনে। ট্রেন থামার পর যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ভেতর থেকে নামতে শুরু করেন। তবে তিনটি বগি পুড়ে গেলেও একটির ভেতরে আটকা পড়েন চারজন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তেজগাঁও ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌনে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় চারজনের মরদেহ।