হোম অন্যান্যসারাদেশ যশোরের তেঁতুলিয়া-বাগেরহাট বাজারে কসাইখানাটি বন্ধের পায়তারা চালাচ্ছে কতিপয় দুর্বৃত্ত

যশোর অফিস:

যশোর সদরের তেঁতুলিয়া-বাগেরহাট বাজারে একমাত্র কসাইখানাটি বন্ধের পায়তারা চালাচ্ছে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্ত। কসাইখানাটি বন্ধ হলে কয়েক গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়বে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া-বাগেরহাট বাজারটির উপর সাত গ্রামের মানুষ নির্ভর। সাত গ্রামের মানুষ এই বাজারের নিত্য পণ্য কেনা-বেচা করে থাকে। সব দিক থেকে তারা সাশ্রয় বাজার করতে পারে। সরকারও এই বাজার থেকে প্রতি বছর মোটা অংকের রাজস্ব পেয়ে থাকে। ফলে বাজারটি স্থানীয়ভাবে বেশ গুরুত্ব রয়েছে। এই বাজারে তিনটি মাংসের দোকান রয়েছে। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন গরু জবাই করে মাংস বিক্রি হয়। গ্রামের মানুষ শহরের আসা-যাওয়া ঝামেলা থাকে না। কিন্তু বাজারের এই মাংস বিক্রি বন্ধের জন্য একটি চক্র উঠে পড়ে লেগেছে। তারা বাজার পাশে তেঁতুলিয়া মাঠে কসাইখানাটি বন্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

মাংস বিক্রেতা জিল্লুর রহমান বলেন, বাজারে গরু মাংস বিক্রি করতে হলে বাবলুকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হবে। চাঁদা না দিলে গরু জবাই করতে দিবে না বলে সে জানায়। এখন গরু নিয়ে কসাই খানায় যাওয়ার রাস্তাটি তাদের মালিকানা জায়গায় বলে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যে কসাইখানাটি বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে গরু নিয়ে কসাইখানায় যাওয়া নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

তিনি বলেন, এক সময় যশোর-রাজগঞ্জ সড়কের পাশে গরু জবাই করা হতো। সেসময় মানুষ দুর্গেন্ধে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পেত না। ফলে আমরা মানুষের যাতাযাত ও দুর্গন্ধমুক্ত সড়ক নিশ্চিত করতে মাঠে সিদ্দিক রহমান ও রবিউল ইসলামের কাছ থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে গরু জবাই শুরু করি। এতে করে মানুষের আগের মত দুর্গেন্ধ পোহাতে হয় না।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, বাবলু যে রাস্তা তাদের বলে দাবি করছে, ওই রাস্তাটি যুগের পর যুগ ধরে মানুষ চলাচল করে। কৃষকরা তাদের উৎপাাদিত ফসল বাড়ি নিয়ে আসে। এই রাস্তাটি এখন সকলের জন্য উন্মুক্ত। এটি কারো পৈত্রিক সম্পতি না।

তিনি আরো বলেন, এই মাঠে তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ কৃষকের জমি রয়েছে। এই সব কৃষকরা ওই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকে। ফলে এখন কেউ এসে দাবি করলে হবে না, রাস্তাটি তাদের জমি।

যোগাযোগ করা হলে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শিশির কান্তি পাল বলেন, আমাদের দেশে পশু জবাই করার হলে কসাইখানা থাকার নিয়ম। কিন্তু যশোরে কোথাও কসাইখানা নেই। যারা পশু জবাই করে তারা যাতে মানুষের কোন সমস্যা না হয় সেই দিকটা খেয়াল রাখবেন। এতে যদি কেউ বাঁধা দেয় তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন