স্পোর্টস ডেস্ক:
মিরপুর টেস্টে মুশফিকুর রহিম স্পট ফিক্সিং করেছেন, সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন একটি প্রতিবেদন ঝড় তুলেছে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। বিষয়টির প্রতিবাদে ইতোমধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মুশফিক। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মুশফিককে নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রচারিত হয়েছে আরও তিনদিন আগে। তবে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিসিবি। তাই মিরপুর টেস্টের পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন পাপন।
পাপনের মতে, গণমাধ্যমের এসব মিথ্যাচার এখন সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষও এসব আর পছন্দ করছে না বলে মনে করেন তিনি। খুব শীঘ্রই বিসিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন মিথ্যা কিছু তথ্য দিলেই মানুষ বেশি খেত। কিন্তু এসব মিথ্যাচার এখন মানুষ ধরতে পারছে, এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে। আমরা এটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। সবকিছুর একটা সীমা আছে। যখন এই সীমা অতিক্রম হয়ে যায়, তখন মানুষ বুঝে ফেলে এটা সাংবাদিকতা নাকি অন্যকিছু। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করেন, আপনারা জানতে পারবেন বিসিবি কী করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে দুটো পার্টি আছে। একটা ভুক্তভোগী, একটা আমরা। ক্রিকেটে অন্তত আমরা ওদের অভিভাবক। এখানে দুজনেরই কিছু দায়িত্ব আছে। ভুক্তভোগীর কাজটা সে করেছে। ও কিছু না করলে আমাদেরও কিছু করার থাকে না। যেসব খবর আসে, আমাদের কিছু না জানালে কিছু করার থাকে না। আমি আজকে শুনেছি মুশফিক পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন বিসিবির যা করনীয় বিসিবি করবে।’
কিউইদের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ব্যাট করতে গিয়ে একটি ডেলিভারি হাতে আটকে দিয়েছিলেন মুশফিক। আবেদনের প্রেক্ষিতে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আউট দেখান আম্পায়ার। এ ঘটনার প্রেক্ষিতেই মূলত তার বিরুদ্ধে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশ করে একটি গণমাধ্যম। বিষয়টি নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের সমালোচনার মুখে পড়েন তারা। এবার আইনি নোটিশও পেল প্রতিষ্ঠানটি।
আইনি নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের আউট নিয়ে মনগড়া, অসত্য, উদ্দেশ্য-প্রণোদিত তথ্য পরিবেশন করে তার দীর্ঘ ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ওপর কালিমা লেপন করা হয়েছে এবং তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি এমন সময়ে করা হয়েছে যখন বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট চলমান। ওই প্রতিবেদনের কারণে মুশফিকুর রহিমের পারিবারিক, সামাজিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তিনি এই বিকৃত তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদনের কারণে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সময় পার করেছেন।
মুশফিকুর রহিমের পরিশ্রম ও ঘামে অর্জিত সুনাম এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিবেদনের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। উক্ত প্রতিবেদনের কারণে তার অপূরণীয় সুনামহানি হওয়ার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হেড অফ নিউজ, ক্রীড়া সম্পাদক ও প্রতিবেদকের কাছে কিছু বিষয়ের নিষ্পত্তি চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই প্রতিবেদনটি সরিয়ে ফেলা ও ক্ষমা প্রার্থনাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে নিষ্পত্তি চাওয়া হয়েছে।