আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারে জোর করে সেনাবাহিনীতে ঢোকানো বন্ধ করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সুশিল সমাজের প্রায় ৩৯৭টি সংগঠন। শনিবার (২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।
শুক্রবার (১ মার্চ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জান্তা সরকারের এই জাতীয় সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহিংসতাকে আরও উসকে দেবে। এতে আরও বলা হয়, জোর করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাধ্য করার মধ্যদিয়ে জনগণকে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত করা এবং জাতিগত ও ধর্মীয় সংঘাত জিইয়ে রাখতে চায় জান্তা বাহিনী।
বিবৃতিতে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে একটি অবৈধ ও আন্তর্জাতিক অপরাধী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কয়েক দশকের যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার জন্য জবাবদিহিতার আওতায় না আনা পর্যন্ত আঞ্চলিক শান্তি আসবে না বলেও দাবি করা হয়।
সংস্থাগুলো নিরাপত্তা পরিষদকে জাতিসংঘ সনদের ৭ম অধ্যায়ের অধীনে একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে; যা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের পথ সুগম করবে।
স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা গোষ্ঠী, নারী অধিকার সংগঠন এবং ধর্মঘট কমিটিসহ অন্যান্য সুশীল সমাজ ও অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপগুলো।
জান্তা সরকার গত মাসে মেডিসিন, ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য পেশাজীবীদের জন্য পুরুষদের বয়স নির্ধারণ করে ১৮ থেকে ৩৫ বছর। আর নারীদের ১৮ থেকে ২৭ বছর। পরে ছেলেদের বয়স বাড়িয়ে ৪৫ এবং নারীদের ৩৫ করা হয়।
মিয়ানমার সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দেশটির ৬ মিলিয়নেরও বেশি পুরুষ এবং ৭ মিলিয়ন মহিলা নিয়োগের জন্য যোগ্য হবেন। এবং এপ্রিলে থিংয়ান ছুটির পরে প্রথম ব্যাচে ৫ হাজার জনের নিয়োগ পাবার কথা। তবে এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পর জান্তার মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেছেন যে, নারীদের প্রাথমিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
এই ঘোষণার জেরে মিয়ানমার ছেড়ে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।