স্পোর্টস ডেস্ক:
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে লড়ে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ-জাকের আলী অনিক। মিরপুর টেস্টে সপ্তম উইকেটে দুজনের ১৩৮ রানের রেকর্ড জুটিতে ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কা কাটিয়ে শত রানের লিডের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
মাটি কামড়ে পড়ে থাকা কথাটা প্রচলিত ক্রিকেট মহলে। যার অর্থ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে উইকেটে টিকে থাকা, আউট না হওয়া। বাংলাদেশি ব্যাটাররাও মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন, তবে ভিন্ন ভাবে। ব্যাটারদের পা যেন ব্যাট চালানোর সময় একে বারেই আটকে যায় মাটির সাথে। যার ফলে বল সুইং করলেই আউট।
মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন আগের দিনের ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামের ৩৮ রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদুল হাসান জয় ও ৩১ রান করা মুশফিকুর রহিম।
নামের পাশে মাত্র দুই রান যোগ করার পর, অফ স্ট্যাম্পের বাইরের একটা লেন্থ বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালিয়ে স্লিপে ধরা পড়ে আউট হন জয়।
মুশফিকের আউটটা ছিলো আরও দৃষ্টি কটু। রাবাদার গুড লেন্থের ইনসুইং ডেলিভারি, ঠায় দাড়িয়ে থেকে, পায়ের ব্যবহার না করে ড্রাইভ করতে গিয়ে বোল্ড হন মুশি। প্রায় একই ভাবে সবশেষ বেশ কিছু ইনিংসে আউট হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
লিটন দাসও ব্যর্থ হন। মাত্র ৭ রান করে ফিরেছেন মহারাজের স্পিনে। আর তাতেই ১১২ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের ঝুকিতে পড়ে বাংলাদেশ।
দলের চরম বিপদে আবারো ত্রাতা হয়ে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৭ নম্বরে নামা এই অলরাউন্ডার জাকের আলী অনিকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। ৯৪ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় তুলে নেন ফিফটি।
মিরাজকে ভালো সঙ্গ দেন জাকের। ১০২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ফিফটি তুলে নেন এই ব্যাটারও। তবে হাফসেঞ্চুরি পাবার পর বেশক্ষণ টিকতে পারেননি জাকের কেশব মহারেজের স্পিনে আউট হন ৫৮ রানে। ভাঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি। ২৫০ রানে ৭ম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর স্পিনার নাইম হাসান ভালো সঙ্গ দেন মিরাজকে। তবে দলীয় স্কোর যখন ২৬৭ তখন বাগড়া দেয় বৃষ্টি। ঘূর্নিঝড় ডানার প্রভাবে হয় বৃষ্টিপাত। ১ ঘন্টা ২০ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয় ম্যাচ। তবে মনসংযোগ হারাননি মিরাজ ও নাইম। ৭ উইকেট স্বাগতিকদের স্কোর যখন ২৮৩, তখন আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয় ম্যাচ। এরপর অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় পরিত্যক্ত হয় দিনের বাকি সময়ের খেলা। ৮১ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নামবে বাংলাদেশ।