মাগুরা অফিস :
করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৩জুন মাগুরা পৌরসভার ২টি এলাকা খান পাড়া ও পিটিআই পাড়াকে রেডজোনের আওতায় এনে এলাকা দুটিকে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষনা করে স্থানীয় প্রশাসন।
তারপর থেকেই এলাকা দুটিতে স্থানীয় প্রশাসন ছাড়াও সেনাবাহিনীর ব্যপক তৎপরতা দেখা যায়। লকডাউনের ফলে ওই এলাকার মানুষের যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়। রেডজোন এলাকায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে যেখানে সার্বক্ষণিক দুজন ডাক্তার রয়েছেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের ও এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য। পৌরসভার জীবাণুমুক্ত গাড়ী দ্বারা এলাকার রাস্তাঘাট দৈনিক জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রীও দেয়া হচ্ছে। লকডাউন শব্দটি যাতে ভীতি সঞ্চার না করে সেজন্য ২১ দিনের কাউন্ট ডাউন এবং মোবাইল মার্কেট চালু করা হয়েছে।
এ কর্মসূচীকে সফল করতে রেড জোন এলাকায় রবিবার উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আতিফ সিদ্দিকী , মাগুরা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম খান ও মাগুরা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মকবুল হাসান মাকুল প্রমুখ ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ২ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আতিফ সিদ্দিকী জানান, করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাফল্যের সাথে কাজ করছে । মাগুরা পৌরসভার রেডজোন দুটি এলাকাতে চলছে ২১ দিনের লকডাউন, আমরা সেটিকে কাউন্টডাউন বলছি । আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় এখানে কাজ করছি । এলাকার মানুষকে সচেতন করছি । পাশাপাশি সংক্রমন যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য রেডজোন এলাকায় চালু হয়েছে মোবাইল মার্কেট । এখানে প্রতিদিন দুইবার কাচা সবজি, নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী একটি গাড়িতে লকডাউন এলাকার মানুষের নিকটে যাবে । তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারবে ।
মাগুরা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মকবুল হাসান মাকুল জানান,ইতিমধ্যে রেডজোন এলাকায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে । রেডজোন এলাকায় পৌরসভার জীবাণুমুক্ত গাড়ী দ্বারা এলাকার রাস্তাঘাট দৈনিক জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে । পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত রোগীদের সিভিল কতৃক নিয়োগকৃত ডাক্তার কতৃক প্রতিদিন দুই বার মোবাইলের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে ।