হোম জাতীয় মাকে বাড়ি ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে ছেলের আত্মহত্যা

জাতীয় ডেস্ক :

বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় রাগ করে ঢাকায় চলে যান সোহাগের মা। মাকে মোবাইল ফোনে বাড়িতে আসতে বারবার আকুতি জানায় সে। তবে ছেলের আকুতিতে মন গলেনি মায়ের। আর মাকে বাড়িতে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহাগ (১৬)।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের নিজ ঘর থেকে সোহাগের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোহাগ ওই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে এবং হাবিবপুর ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানায়, সোহাগরা তিন ভাই। সবার বড় সোহাগ। কিছুদিন আগে সংসারে অভাব-অনটনের কারণে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে যান সোহাগের মা। এর কিছুদিন পরে তার বাবাও ঢাকায় চলে যান। এদিকে বাবা-মাকে কাছে পাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে বারবার আকুতি জানিয়েও তাদের বাড়িতে ফেরাতে পারেনি সোহাগ। এতে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

প্রতিবেশী এক ফুপু বলেন, সোহাগ আজ সকালে কান্না করছিল এবং বারংবার মায়ের কাছে ফোন দিয়ে ফেরার আকুতি করেছিল। মোবাইলে মাকে বলছিল- মা তোমাকে ছাড়া আর ভালো লাগে না, প্রতিটা রাত জেগে জেগে কাটাই। মা তুমি চলে এসো। তোমাকে ছাড়া আর বাঁচব না। কিন্তু মায়ের মন কিছুতেই নরম হয়নি। এ কারণেই বলি হতে হলো তাকে।

এদিকে, এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এত অল্প বয়সে সোহাগের মৃত্যু এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছে না।

এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার শামিম বলেন, গ্রামপুলিশের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে আমি নিজে কিশোরের বাড়ি যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই কিশোরের মা-বাবা দুজনই বাড়িতে থাকেন না। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন