মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক অফিস যেন ‘ঘুসের মোকাম’ হয়ে উঠেছে। ঘুস মিললেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খান চাপেন সেন্ট বাটম। গত এক যুগ ধরে প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম নেই। তারপরও মোটা অংকের ঘুসে তুষ্ট হয়ে কার্যক্রমবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নাম উঠিয়ে এমপিওভূক্তকরনের (মান্থলি পে অর্ডার) প্রাথমিক পর্যায়ের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শুধু স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ক্ষেত্রে নয়; উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এমপিওভূক্তির ক্ষেত্রেও হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল অংকের টাকা। যশোরের মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন খানের বিরুদ্ধে এই ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তার বদলির অর্ডার হলেও বর্তমান কর্মস্থলে (মনিরামপুর) থাকার জন্য তদ্বিরে ঢাকায় আছেন বলে জানাগেছে। এর আগেও তিনি এ উপজেলাতে একই দায়িত্বে ছিলেন। তখনো তার বিরুদ্ধে ঘুস বাণিজ্যসহ এন্তার অভিযোগ উঠে। কিন্তু ফরিদপুরে বাড়ি হওয়ার সুবাদে তৎকালিন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন খানের নিকট আত্বীয়ের পরিচয় দিয়ে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ওই সময় ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন তিনি। ফরিদপুর শহরে রযেছে নজরকাড়া আলিশান বাড়ি ও নামে-বেনামে অঢেল সম্পদ। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের কয়েক মাস আগে বিশেষ তদ্বিরে ফের তিনি এ উপজেলায় আসেন। এসেই পুরানো খেলা সেই ঘুস বাণিজ্যে মেতে উঠেন তিনি। শিক্ষা অফিসের সকল কাজ অন লাইনে হয়ে থাকে। ঘুস মিললেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খান চাপেন সেন্ট বাটম। যেনতেনভাবে কাগজ তৈরী হলেই এক ক্লিকে পাঠিয়ে দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রসা শিক্ষকদের আন্দোলনের মূখে অন্তর্বর্তী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভূক্তির ঘোষনা দেয়। সেমোতাবেক এ উপজেলায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব পড়ে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন খানের উপর। সূত্র জানায়, সারাদেশে এক হাজার ৫শ’১৯টি নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। এরমধ্যে এ উপজেলায় ১৬টি নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা থাকলেও সরকারি অনুদানভূক্ত মাত্র ১১টি। এই নিবন্ধিত ১৬টিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ৪১টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তালিকা পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ২টি ছাড়া বাকি মাদ্রাসা কোডভূক্ত হলেও সিংহভাগ ইবতেদায়ী মাদ্রসায় গত এক যুগ ধরে কোন ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম নেই। অভিযোগ রয়েছে প্রাথমিক তালিকাভূক্তির বিনিময়ে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আকরাম হোসেন খান মাদ্রাসা প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার ঘুস নিয়ে এমপিওভূক্তর জন্য (প্রাথমিক যাছাই-বাছাইয়ের তালিকা) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছেন। সূত্র আরও জানায়, প্রণয়নকৃত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তালিকায় গত ৯ মার্চ আকরাম হোসেনের স্বাক্ষরের পর একই মাসের ১৯ তারিখে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান। সরেজমিন উপজেলার বিজয়রামপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গত এক যুগ ধরে কোন একাডেমিক কার্ডক্রম না থাকায় সেটি জমিদানকারি মালিক দখলে নিয়ে পশুপালনের ঘর বানিয়েছেন। একই অবস্থা কাশিপুর ঘুঘরাইল, আ¤্রঝুটা, জয়পুর, কাটাখালিসহ একাধিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার। অথচ এসব মাদ্রসা তালিকায় উঠানো হয়েছে। বালিধা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার ইব্রাহিম হোসেন জানান, তালিকা পাঠানোর কথা বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন খান তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। তারমতো নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক অনেকেই একই অভিযোগ করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দ্বিতীয়বার আসার পর উপজেলা নতুন এমপিওভূক্ত মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এমপিও ভূক্তিকরণে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আকরাম হোসেন খান বলেন, তিনি ঢাকাতে বিশেষ কাজে এসেছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এসব পুরাতন কেস। তিনি কেবল পাঠিয়েছেন। এছাড়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তালিকা সাবেক শিক্ষা অফিসার কিছু পাঠিয়েছিলেন। সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন খানের সাথে তার আত্বিয়তার ব্যাপারে মূখ খুলেননি তিনি।
মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক অফিস যেন ‘ঘুসের মোকাম’ হয়ে উঠেছে। ঘুস মিললেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খান চাপেন সেন্ট বাটম। গত এক যুগ ধরে প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম নেই। তারপরও মোটা অংকের ঘুসে তুষ্ট হয়ে কার্যক্রমবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নাম উঠিয়ে এমপিওভূক্তকরনের (মান্থলি পে অর্ডার) প্রাথমিক পর্যায়ের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। শুধু স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ক্ষেত্রে নয়; উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এমপিওভূক্তির ক্ষেত্রেও হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল অংকের টাকা। যশোরের মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন খানের বিরুদ্ধে এই ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি তার বদলির অর্ডার হলেও বর্তমান কর্মস্থলে (মনিরামপুর) থাকার জন্য তদ্বিরে ঢাকায় আছেন বলে জানাগেছে। এর আগেও তিনি এ উপজেলাতে একই দায়িত্বে ছিলেন। তখনো তার বিরুদ্ধে ঘুস বাণিজ্যসহ এন্তার অভিযোগ উঠে। কিন্তু ফরিদপুরে বাড়ি হওয়ার সুবাদে তৎকালিন স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন খানের নিকট আত্বীয়ের পরিচয় দিয়ে ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ওই সময় ধরাকে সরা জ্ঞান করতেন তিনি। ফরিদপুর শহরে রযেছে নজরকাড়া আলিশান বাড়ি ও নামে-বেনামে অঢেল সম্পদ। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের কয়েক মাস আগে বিশেষ তদ্বিরে ফের তিনি এ উপজেলায় আসেন। এসেই পুরানো খেলা সেই ঘুস বাণিজ্যে মেতে উঠেন তিনি। শিক্ষা অফিসের সকল কাজ অন লাইনে হয়ে থাকে। ঘুস মিললেই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন খান চাপেন সেন্ট বাটম। যেনতেনভাবে কাগজ তৈরী হলেই এক ক্লিকে পাঠিয়ে দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানাগেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রসা শিক্ষকদের আন্দোলনের মূখে অন্তর্বর্তী সরকার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিওভূক্তির ঘোষনা দেয়। সেমোতাবেক এ উপজেলায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব পড়ে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন খানের উপর। সূত্র জানায়, সারাদেশে এক হাজার ৫শ’১৯টি নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা আছে। এরমধ্যে এ উপজেলায় ১৬টি নিবন্ধিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা থাকলেও সরকারি অনুদানভূক্ত মাত্র ১১টি। এই নিবন্ধিত ১৬টিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ৪১টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তালিকা পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ২টি ছাড়া বাকি মাদ্রাসা কোডভূক্ত হলেও সিংহভাগ ইবতেদায়ী মাদ্রসায় গত এক যুগ ধরে কোন ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম নেই। অভিযোগ রয়েছে প্রাথমিক তালিকাভূক্তির বিনিময়ে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আকরাম হোসেন খান মাদ্রাসা প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার ঘুস নিয়ে এমপিওভূক্তর জন্য (প্রাথমিক যাছাই-বাছাইয়ের তালিকা) সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছেন। সূত্র আরও জানায়, প্রণয়নকৃত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তালিকায় গত ৯ মার্চ আকরাম হোসেনের স্বাক্ষরের পর একই মাসের ১৯ তারিখে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠান। সরেজমিন উপজেলার বিজয়রামপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা গত এক যুগ ধরে কোন একাডেমিক কার্ডক্রম না থাকায় সেটি জমিদানকারি মালিক দখলে নিয়ে পশুপালনের ঘর বানিয়েছেন। একই অবস্থা কাশিপুর ঘুঘরাইল, আ¤্রঝুটা, জয়পুর, কাটাখালিসহ একাধিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার। অথচ এসব মাদ্রসা তালিকায় উঠানো হয়েছে। বালিধা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার ইব্রাহিম হোসেন জানান, তালিকা পাঠানোর কথা বলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেন খান তার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন। তারমতো নাম প্রকাশে অনৈচ্ছুক অনেকেই একই অভিযোগ করেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দ্বিতীয়বার আসার পর উপজেলা নতুন এমপিওভূক্ত মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এমপিও ভূক্তিকরণে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আকরাম হোসেন খান বলেন, তিনি ঢাকাতে বিশেষ কাজে এসেছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, এসব পুরাতন কেস। তিনি কেবল পাঠিয়েছেন। এছাড়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার তালিকা সাবেক শিক্ষা অফিসার কিছু পাঠিয়েছিলেন। সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন খানের সাথে তার আত্বিয়তার ব্যাপারে মূখ খুলেননি তিনি।