হোম Uncategorizedবাংলাদেশ মনিরামপুরে বিদ্যালয়ের গাছ নিলামে ভিত্তিমূল্য নির্ধারণে অনিয়মের অভিযোগ

মনিরামপুরে বিদ্যালয়ের গাছ নিলামে ভিত্তিমূল্য নির্ধারণে অনিয়মের অভিযোগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 568 ভিউজ

মনিরামপুর(যশোর)প্রতিনিধি :

মনিরামপুরে সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে গাছ নিলামে ভিত্তি মূল্য নির্ধারনে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গাছ পরিমাপে মনগড়া হিসেব দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক নিলাম বাতিল করে ফের দরপত্র আহবানের দাবি উঠেছে। জানাযায়, উপজেলার শাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাচীর নির্মাণে প্রায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। প্রাচীর নির্মানে বিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ বছরের ৩৫টি মেহগনি ও ২টি ঝাউ গাছ কেটে ফেলার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বিধায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ কাটতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করে। বিধিমোতাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি এবং উপজেলা প্রকৌশলী, শিক্ষা কর্মকর্তা ও বন কর্মকর্তাকে সদস্য করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটি গঠিত হয়।

উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বিদ্যালয়ের গাছের পরিমাপ করে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ভিত্তি মূল্য নির্ধারন করেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে বন কর্মকর্তা ভিত্তি মূল্য নির্ধারনে গাছের মনগড়া পরিমাপ করেছেন। যার নিলাম গত ১৩ অক্টোবর বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। নিলাম অংশগ্রহণ নিয়ে টেন্ডারবাজদের এ অংশের হামলায় ৩ জন আহতসহ উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম লাঞ্চিত হন। উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা তার বিরুদ্ধে আনীত অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিধিমোতাবেক সব গাছের গড় পরিমাপ করে এ ভিত্তি মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে। ৪৫৫.১১ টাকা গাছের গড় সেফটি ধরে ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ভিত্তি মূল্য নির্ধারন করা হয়। তার হিসাব মতে ৩৭টি গাছের ৬০৪ সেফটি কাঠ (লগ) ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সবচেয়ে বড় মেহগনি গাছের বেড় প্রায় ১১২ ইঞ্চি এবং উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট। এ পরিমাপ নিয়ে কাঠ (লগ) ব্যবসায়ীর কাছে গেলে তিনি বলেন, এ গাছের বেড় ও উচ্চতা অনুযায়ী প্রায় ৫৫.২৪ সেফটি কাঠ (লগ) রয়েছে। এ গাছের বড় ৪টি শাখায় আরো ২০ থেকে ৩০ সেফটি লগ রয়েছে। বন কর্মকর্তার হিসেবে মতে এ গাছটির মূল্য আসে প্রায় ৩৭ হাজার টাকা। আর বাজার মূল্য প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। বিদ্যালয়ে নিলামকৃত ৩৫টি মেহগনি গাছের মধ্যে ৩০টি গাছের বেড় ৭০ থকে ১০০ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ ফুট। বাকি ৪টির বেড় ৪০ থেকে ৫০ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ১০ থেকে ১৫ ফুট। আর বাকি দুই ঝাউ গাছের বেড়ও ৪০ থেকে ৫০ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৩০ থেকে ৪০ ফুট। এ হিসেবে মতে সব গাছের গড় কাঠ (লগ)-এর পরিমান ২২ সেফটির বেশি হবে বলে স্থানীয় কাঠ (লগ) ব্যবসায়ীদের ধারনা। অথচ মনগড়া হিসেব দেখিয়ে ভিত্তি মূল্যে কম দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। একইভাবে গত ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলার ১৬টি বিদ্যালয়ের ৩২টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও ২৪ অক্টোবর রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০২টি মেহগনি গাছের নিলামেও বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিত্তিমূল্য কম দেখানোর অভিযোগ রয়েছে

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন