মনিরামপুর( যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের মনিরামপুরে ফসলি জমি, বিল রক্ষা, অনৈতিকভাবে স্থাপিত মৎস্য ঘের অপসারণ ও পানি নিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন জমির মালিক ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা। বুধবার বেলা ১১টার সময় উপজেলার কোচবিল মাঠে এ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায়, উপজেলার ঢাকুরিয়া, ব্রাহ্মনডাঙ্গা, ভোজগাতী, হুরগাতী, ভবানিপুর, জয়পুর গ্রামের হাজার হাজার কৃষকের একমাত্র সম্বল কোচবিল। এক শ্রেণীর অসাধুরা একের পর এক ফসলী জমি নষ্ট করে ঘের তৈরি করে চলেছে। কৃষকরা জমিতে চাষ করে শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঝাঁপা গ্রামের সরোয়ারের ছেলে এনামুল (৩৫) ফসলি জমিতে ঘের কাটার অপরাধে বুধবার ১১টার সময় জয়পুর কোচবিলে মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও জমির মালিকেরা।
সমাবেশে তারা অভিযোগ করেন, এলাকার আবাদি জমি ও বিল দখল করে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি মাছের ঘের তৈরি করেছেন। এতে জমিতে পানি জমে থাকে, ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং কৃষিজীবীদের জীবিকায় নেমে এসেছে বিপর্যয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই অঞ্চলের কৃষির উপর নির্ভর করে হাজারো পরিবার। ঘেরের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে ফসলহানির পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। তারা দ্রুত ঘেরগুলো অপসারণ করে স্বাভাবিক পানি চলাচল নিশ্চিত ও আবাদি জমির স্থায়িত্ব রক্ষায় প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন কৃষক মনির পাটোয়ারী, সফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, কোরবান আলীসহ আরো অনেকে।
জানতে চাইলে ঘের মালিক ইনামুল কবীর বলেন, আইন মেনেই ঘের করা হয়েছে। আমি পানি নিষ্কাশনের জন্য কেনেল রেখে দিয়েছি। কৃষকদের স্বার্থে যদি কেনেল আরো বড় করতে হয়, তা আমি করে দিবো।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত তামান্না বলেন, আমি ইতিমধ্যে ওই এলাকা পরিদর্শন করে স্কেভটর মেশিন বন্ধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা তৎপর রয়েছি।