মনপুরা ভোলা প্রতিনিধি :
ভোলার মনপুরায় নিষিদ্ধ বেহুন্দী জাল, জাটকা মাছের নির্ধন, খুঠা জাল, খেড়াপি জালের মহাউৎসব চলছে মেঘনা নদীতে দেখার যেন কেউ নেই, নিরবে নির্বিক মানবতা, নষ্ট হচ্ছে সরকারের হাজার ও চেষ্টা ও অহেতুক খরচ হচ্ছে মৎস্য সংরক্ষক নামে কোটি কোটি টাকার।
বঙ্গপোসাগরের কূলগেষে ওঠা দ্বীপের নাম মনপুরা, যার চারপাশে রয়েছে মেঘনা নদী, মেঘনার বিশাল জলরাশি সাগরের মাছের জন্য যেন এক মিলন ঘর। মেঘনার এই চ্যানেল অনেক গভীর ও চরের সমন্বয়ে গঠিত প্রাকৃতিক মৎস্য অঞ্চল তাই মা মাছ ডিম ছাড়তে নিরাপদ ও সাধছন্দবোধ করেন এমনটাই জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তা।
ইলিশপোনা জাটকা এবং সামুদ্রিক মাছের ডিম, লার্ভী ও পোনা রক্ষায় নিষিদ্ধ ঘোষিত বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল ও ক্ষতিকর মৎস্য আহরন উপকরন সমুহ প্রতিরোধ সহ কার্যকরিভাবে বন্ধে দেশের উপক’লীয় ১৭টি জেলায় ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ শুরু করেছেন সরকার, ১৭টি জেলার মধ্যে ভোলা রয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম।
মৎস্য অধিদপ্তর প্রথম পর্যায়ে গত ১০ জানুয়ারী ২০২১ ইং থেকে ১৬ জানুয়ারী পর্যন্ত উপক’লীয় এলাকায় সাপ্তব্যাপি চল্লে ও  এ ধরনের অভিযানে চলবে ১ফেব্রুয়ারি ২০২১পযার্ন্ত এসবের কিছুই মানছে না মনপুরা মৎস্য অধিদপ্তর।  বিপুল সংখ্যক কারেন্ট জাল ও বেহুন্দি জাল সহ বিাভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ এবং ক্ষতিকর মৎস্য উপকরন বাজেয়াপ্ত করে মৎস্য অধিদপ্তর করে থাকলে ও ভোলার মনপুরার মৎস্য কর্মকর্তা ও কোষ্টগার্ড  মনে হয় কিছুই জানেনা।
তাছাড়া গত ১ নভেম্বর থেকে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে জাটকা আহরন,পরিবহন ও বিপনন নিষিদ্ধ রয়েছে। বর্তমান বিশেষ অভিযান চলমান থাকলে আগামীতে ইলিশ সহ দেশের উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকে।
সরকারের মৎস্য নীতির বিপরীত মূখি নীতি নিয়ে হাটছে ভোলার মনপুরার মৎস্য অধিদপ্তর ও কোষ্টগার্ড, দিন ও মাসের মাসরায় বৈধতা পাচ্ছে নিষিদ্ধ কারেন্ট ও বেহুন্দী জাল এবং খুঠা ও খেরাপি জালের মত ভয়ংকর নিষিদ্ধ জালগুলো, ভোলার মনপুরা মৎস্য আইনের জন্য এই আরেক  ভিন্ন দেশ, এইখানে সরকারের কোন মৎস্য আইন চলে না। মাসের কন্টাকে চলে যে কোন নিষিদ্ধ জালের বৈধতা।
এই ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তা গোফুর মিঞার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিসে আসেন, আমি আপনার কথা মোবাইল বোজিনা। আমার লোকবল ও সরঞ্জামের অভাবে কাজ করতে পারছি না।
সকল অবৈধ জালের বৈধতা দিচ্ছে কোষ্টগার্ডের নৌকার মাঝি, মৃৎসজীবী লীগের সভাপ্রতি নাজির মহাজন, নাছির মহাজনের মাধ্যমে কোষ্টগার্ড ও মৎস্য অফিস কে কালেকশন দিয়ে থাকে জেলেরা, তারা বলে আমরা নাছির মহাজনকে মাসিক কিস্তিতে টাকা দেয়, তিনি কোষ্টগার্ড ও মৎস্য অফিস ঢিল করে থাকেন, অনেক সময় টাকা দিতে ধেরি হলে ঐদিন জাল ধরিয়ে দেয়, তাই মাসের আগেই টাকা দিয়ে দেই।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে মনপুরা কোষ্টগার্ডের সিসি আঃ সামাদ বলেন আমি নিয়মিত অভিযানে যায় ও জাল পুড়ি তবে কেন জানি শতভাগ সফল হতে পারি না অভিযানে।