অনলাইন ডেস্ক:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর চরাঞ্চলে মানুষের মাঝে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের আতঙ্ক বেড়েছে। এতে একের পর এক রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে এ উপজেলার নদীতীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায়। এতে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হঠাৎ করেই মতলব উত্তরের বিশেষ করে বোরোচর নামক এলাকায় এই সাপের উপস্থিতি বেশ আতঙ্ক তৈরি করেছে।
স্থানীয়দের ধারণা, ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানির সঙ্গে বাংলাদেশের নদীর পানিতে ঢুকছে এই সাপ। বিশেষ করে বন্যা ও নদীর পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশে ঢুকছে। আর অতিদ্রুত এটি বংশবিস্তার করে চলছে।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার বোরোচরে কৃষক সুমন বেপারী তার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখা মিলে রাসেল ভাইপার। পরে সবাই মিলে মেরে ফেলে এই বিষধর সাপটিকে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে গফুর বাদশা নামে আরেক কৃষকের আলুর জমিতে দেখা মিলেছিল ২টি রাসেল ভাইপার।
এদিকে, কৃষক সুমন বেপারী জানান সকালে জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখি ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলি, পড়ে দেখি এটি একটি বিষধর রাসেল ভাইপার। এখন ভয়ে কোনো শ্রমিক জমিতে ধান কাটতে চাচ্ছে না।
বোরোচরের বাসিন্দা মো. সানাউল্লাহ মাস্টার জানান, গত কয়েক মাস ধরে বোরোচর এলাকার রাসেল ভাইপারের দেখা মিলছে। এতে জমিতে ফসল করতে ভয় পাচ্ছে শ্রমিকরা।
উপজেলার এখলাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী জানান, বোরোচর এলাকার সাপের দেখা মিলছে। কৃষকদের সাবধানে ধান কাটার জন্য বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. হাসিবুল ইসলাম জানান, রাসেল ভাইপার সাপ অত্যন্ত বিষধর। এর কামড়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এর প্রতিষেধক রয়েছে। সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া হলে এ থেকে বাঁচা সম্ভব।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফয়সাল মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মতলবের চরাঞ্চলে রাসেল ভাইপার সাপের উপদ্রব অনেক বেড়েছে। এখলাসপুর ইউনিয়নের বোরচর এই সাপের উপদ্রব বেশী। এখন কৃষকরা পায়ে বুট পড়ে ধান কাটবেন। আর ধানকাটা শ্রমিকদের বুট দেয়াও অনেকের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আমাদের জানালে ধানকাটা মেশিন দিয়ে সহায়তা করা হবে।’