হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে দাম বৃদ্ধির পরও সহজে মিলছে না সয়াবিন তেল

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি :

দাম বৃদ্ধির পরও মণিরামপুরে সহজে মিলছে না সয়াবিন তেল সরকারের পক্ষ থেকে নতুন দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরও ভোজ্যতেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। কারসাজিবাজদের চক্রান্তে প্রায় উধাও সয়াবিন তেল। শুক্রবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হলেও মণিরামপুরের অধিকাংশ দোকানে মিলছে না বোতলজাত তেল। দু-এক জায়গায় গোপনে নতুন দামের চেয়ে অনেক বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। তেলের সন্ধানে দোকান থেকে দোকানে ঘুরছেন ক্রেতা। এদের বেশিরভাগই হতাশ হয়ে ফিরছেন শূন্য হাতে।

সরেজমিনে মণিরামপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা সয়াবিনের কেজি বিক্রি হচ্ছে দুইশ’ পাঁচ টাকা থেকে দুইশ’ দশ টাকায়, সুপার সয়াবিন একশ’ ৯৫ থেকে একশ’ ৯৭ টাকা লিটারে। পামওয়েলের কেজি বিক্র হচ্ছে একশ’ ৯০ টাকা করে। যদিও শুক্রবার থেকে বোতলজাত সয়াবিন একশ’ ৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন একশ’ ৮০ টাকা ও সুপার এবশ’ ৭২ টাকায় লিটার বিক্রির কথা।

দোকানিরা বলছেন, সরকার নতুন করে সয়াবিনের যে দাম নির্ধারণ করেছে সে তেল এখনো বাজারে আসেনি। বড় বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা দোকানিদের তেল দিচ্ছেন না। দাম আরও বাড়ার আশায় তারা তেল মজুত করে রেখেছেন। পৌরশহরের একটি দোকানে পাঁচ থেকে সাতটি এক লিটারের সয়াবিনের বোতল পাওয়া যায়। একটি বোতল ধরে দেখা গেছে তাতে খুচরা মূল্য লেখাটি ঘষে তুলে ফেলা হয়েছে।

মণিরামপুর বাজারের মুদি দোকানি মাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আমার আগের কিনা এক লিটারের পাঁচ থেকে সাত বোতল থেকে গেছে। দাম বাড়ায় আমি বোতলের গায়ের মূল্য লেখাটি তুলে ফেলেছি’।

বাজারের আরেক মুদি দোকানি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুইশ’ দুই টাকা করে ২৮ কেজি খোলা সয়াবিন তেল কিনে দুইশ’ ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। সুপার বিক্রি করছি একশ’ ৯৫ টাকা লিটার’।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা মুদি দোকানি বলেন, বাজারে বড় তেলের সব দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল আছে। তারা লুকিয়ে রেখেছেন। দাম আরও বাড়বে ভেবে কেউ বের করছেন না।

পৌরশহরের মোহনপুর এলাকার ক্রেতা নুর মোহাম্মদ বলেন, ‘খবরে শুনতেছি খোলা সয়াবিন তেল একশ’ ৮০ টাকা লিটার। এখন দোকানে কিনতে আসলে দুইশ’ ছয় টাকা কেজি চাচ্ছে’।

এদিকে, গ্রামের দিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোলা সায়াবিন তেল দুইশ’ ১৫ টাকায় ও পাম সুপার তেল দুইশ’ পাঁচ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন মুদি দোকানিরা।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব বলেন, সরকার নির্ধারিত দামের বেশি কোনো দোকানি সয়াবিন তেল বিক্রি করলে তার বিরেুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন