হোম অন্যান্যসারাদেশ মণিরামপুরে গরুর ক্ষুরারোগ নিয়ে খামারীরা হতাশায়

 মণিরামপুর( যশোর)প্রতিনিধি :

লাউড়ি গ্রামের চাষি মিজানুর রহমান। হালের গরুসহ ৪টি গাভী পালন করছেন তিনি। এ অবস্থায় তার চারটি গরুই ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ কারনেই হতাশাগ্রস্থ হয়েছেন তিনি।

ঝাপা গ্রামের প্রভাষক আশরাফউজ্জামান খান তিনিও শখেরবসে বাড়িতে বাড়িতে ৮টি গরু পালন করছেন। তার এ আটটি গরুর মধ্যে প্রায় সবকটিই আক্রান্ত হয়েছে ক্ষুরা রোগে। কেবল মিজানুর-আশরাফ নয়, উপজেলার অধিকাংশ গরু পালনকারীরাই ক্ষুরা রোগ নিয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।

বিজয়রামপুর গ্রামের খামারী সন্তোষ স্বর জানান এ বছর শীতের শেষের দিক থেকে সারা উপজেলায় গরুর ক্ষুরা রোগ হয়েছে ব্যাপক হারে। এখনও তার প্রাদুর্ভাব কাটেনি। ফলে খামারীসহ সাধারন কৃষকরাও চরম হতাশাগ্রস্থ রয়েছেন।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আবুজার সিদ্দিকী জানান, মণিরামপুর উপজেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজারের অধিক গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়াই উপজেলার বড় বড় খামারীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি আরও উপজেলার বিভিন্ন খামারী মালিক ছাড়াও চাষী হমলে এ পর্যন্ত গরু রয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজারটি।

এর মধ্যে রোহিতা ইব্রাহীম হোসেনের খামার বর্তমানে গরু রয়েছে ১২টি, লেয়াকত বিশ্বাসের ১৬টি, মশ্মিমনগরে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের খামারে রয়েছে ৬৫টি, ভোজগাতীর সাইফুল ইসলামের খামারে রয়েছে ৬৩টি এবং বাহাদুরপুর গ্রামের সঞ্চয় মল্লিকের খামারে রয়েছে ৩২টি।

এসব খামারে গরুগুলো ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় খামারী মালিকরা চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা প্রাণী সম্পাদ অফিসে গরু পালনকারীরা এ রোগের চিকিৎসা নিতে ভিড় জমাচ্ছে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার কারনে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সকলকে।

আর এ জন্য পরিস্থিতিকে সামাল দিতে দিন-রাত ছুটতে হচ্ছে উপজেলার এ প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত। এছাড়া খামারীদের সচেতন করতে গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ই মার্চ) উপজেলার খামারী মালিকদের নিয়ে পরামর্শ সভা করা হয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানান, গরু পালনকারীদের ভুলের কারনেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন অনেকেই। আক্রান্ত গরুকে অনেকেই ভাত এবং ভূষি খাওয়াচ্ছেন।

এ কারনেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন অনেকেই। একমাত্র সবুজ ঘাস ছাড়া ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত গরুকে আর কিছুই খেতে দেওয়া যাবেনা। তাছাড়া পটাশের পানিসহ অন্যান্য মেডিসিন দ্বারা নিয়মিত পরিস্কার রাখলে সহজেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভম বলে মনে করেন তিনি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন