হোম ফিচার ভয়ংকর মাংসখেকো গাছ!

বিনোদন ডেস্ক :

জীববৈচিত্র্যে ভরপুর পৃথিবীর আনাচে-কানাচে বিভিন্ন জঙ্গল ঘেঁটে প্রায় ১০০-র বেশি মাংসাশী গাছের সন্ধান ‍পাওয়া গেছে, যেগুলো গ্লুকোজের বাইরে ফাঁদ পেতে পোকামাকড় ধরে এবং তা ভক্ষণ করে।

কলসের ন্যায় দেখতে শিকারি গাছ ‘পিচার প্ল্যান্ট’ মাংসাশী গাছের মধ্যে একটি। উচ্চতায় ৬ মিটার পর্যন্ত গাছটির অবস্থান অস্ট্রেলিয়া, মাদাগাস্কার, পাপুয়া নিউ গিনি ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের জঙ্গলে।

একদম শুরুর দিকে এদের দেখায় লম্বা তরবারির মতো। ধীরে ধীরে তরবারির মতো লম্বা পাতাটি পরিবর্তিত হয়ে পিচারে পরিণত হয়। প্ল্যান্টটি মাটি থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারলেও সেখানকার মাটির পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ নিতান্তই কম।

পুষ্টি ঘাটতি পূরণে গাছগুলো বিভিন্ন অমেরুদণ্ডী প্রাণীর মাংস খেয়ে পুষ্টি ঘাটতি দূর করে। বিভিন্ন কীটপতঙ্গ শিকার করতে স্থির প্ল্যান্টের ব্যবহার করতে হয় পিচার নামক অস্ত্রকে।

শিকারি গাছটি পতঙ্গকে আকৃষ্ট করতে এর ওপর ঢাকনা থেকে হালকা সুবাস নির্গত করে থাকে। পতঙ্গগুলো পিচারের ওপর বসলে এর অভ্যন্তরে দেওয়ালের আঠার ফাঁদে আটকে গিয়ে ভেতরে তলিয়ে যেতে থাকে।

অন্যদিকে পিচারের মুখের দিকে মাঝারি আকারের লোম পতঙ্গকে বাইরে বের হতে বাধা দেয়। ধীরে ধীরে পিচারের ঢাকনা বন্ধ হয়ে গেলে ভেতরে পাচক রস নির্গত হতে থাকে। শিকারকে হত্যা করার জন্য প্রথমে অ্যাসিড ক্ষরণ হয়।

পাচক ও অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় দ্রুত সেই পতঙ্গ গাছটির খাদ্যে রূপান্তরিত হয়। ভরপেট খেয়েই ক্ষান্ত হয় পিচার প্ল্যান্ট। গাছটি বিশেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণ করে নেয়। পরবর্তী সময়ে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিলে আবারও আকৃষ্ট করতে প্রয়াস চালায় শিকারদের।

তবে জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ইন্দোনেশিয়ার বন বিভাগ পিচার প্ল্যান্ট সংরক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছে। বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম উপায়ে সংরক্ষিত পরিবেশে পিচার প্ল্যান্ট চাষের পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করছেন।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন