বাণিজ্য ডেস্ক:
সরকার জ্বালানি তেলের ডিলার পর্যায়ে কমিশন বাড়িয়েছে এবং তেলের মূল্য সমন্বয় করেছে। তবে এতে গ্রাহক পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সময় সংবাদকে এ বিষয়টি জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি জানান, গ্রাহক পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দামে কোনো ধরনের সমন্বয় হয়নি, কেবল ডিলার পর্যায়ে কমিশন বাড়ানো হয়েছে। তেলের দাম নিয়ে কোনো ধরনের গুজব কিংবা বিভ্রান্তির অবকাশ নেই।
এর আগে সোমবার (২ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এক গেজেটে জ্বালানি তেল বিপণন কোম্পানির জন্য ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের নতুন দর কাঠামো ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) থেকে এ মূল্য কার্যকর হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পরিশোধিত এবং সরাসরি আমদানি বা কেনা ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোল তেল বিপণন কোম্পানিগুলোকে নতুন মূল্যে সরবরাহ করবে।
ডিজেলের নতুন মূল্য কাঠামোতে বলা হয়েছে, প্রকৃত মূল্য ৮৮ টাকা ২১ পয়সার সঙ্গে মূসক ১৩ টাকা ২৩ পয়সা যোগ করে এক্স-রিফাইনারি মূল্য হবে ১০১ টাকা ৪৪ পয়সা।
ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক ২ টাকা ১৪ পয়সা, বিপণন কোম্পানির মার্জিন ৫০ পয়সা, পরিবহন ভাড়ার তহবিল হিসাব ৯০ পয়সা, বিপিসির জ্বালানি তেল খাত উন্নয়ন তহবিল ১০ পয়সা, মূল স্থাপনা কেন্দ্র মূল্য ১০৫ টাকা শূন্য ৮ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ডিলারদের স্থানীয় পরিবহন খরচ (৪০ কিলোমিটারের মধ্যে) ৯৩ পয়সা, ডিলার ও এজেন্ট কমিশন ২ টাকা ৯৯ পয়সা। সব মিলিয়ে বিক্রি হবে ১০৯ টাকায়।
অন্যদিকে কেরোসিনে মূসক ১৩ টাকা ৩৪ পয়সা, পেট্রোলে ১৪ টাকা ৯৮ পয়সা এবং অকটেনে ১৫ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কোরোসিনের মূসকসহ মূল্য ১০২ টাকা ৩১ পয়সা, অকটেনের ১১৯ টাকা ৬২ পয়সা এবং পেট্রোলের ১১৪ টাকা ৮৬ পয়সা।
তবে এতে ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ১০৯ টাকা, পেট্রল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।